—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাজনৈতিক লাভের জন্য বার বার পাকিস্তানকে টেনে আনবেন না। লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে ভারতীয় রাজনীতিকদের বার্তা দিল ভারতের প্রতিবেশী দেশ। পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের পর্যবেক্ষণ, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নেমে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে অনেক ভারতীয় রাজনীতিক পাকিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে আনছেন। আর তা নিয়েই সরব হতে দেখা গেল পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জাহরা বালোচকে। শুক্রবার ইসলামাবাদে এক সংবাদিক বৈঠকে বক্তৃতা করার সময় মুমতাজ বলেন, ‘‘নির্বাচনী উদ্দেশ্যের জন্য ভারতীয় রাজনীতিকদের পাকিস্তানকে টেনে আনার বেপরোয়া অনুশীলন বন্ধ করা উচিত।’’ ভারতীয় রাজনীতিকেরা পাকিস্তান নিয়ে যে সব দাবি করছেন, তা ‘ভিত্তিহীন’ এবং এর কোনও ‘ঐতিহাসিক বা আইনি তথ্য নেই’ বলেও মন্তব্য করেছেন মুমতাজ।
পাশাপাশি, জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সমস্ত দাবি তাঁরা প্রত্যাখ্যান করছেন বলেও জানিয়েছেন পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। মুমতাজকে উদ্ধৃত করে পাক সংবাদমাধ্যম ‘ডন নিউজ়’-এর প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, “জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে অযৌক্তিক দাবি তুলে ধরে ভারতীয় নেতাদের উস্কানিমূলক বক্তব্য উদ্বেগজনক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাকিস্তান ভারতীয় নেতাদের এই সব দাবি প্রত্যাখ্যান করছে। এই সব বক্তৃতা আঞ্চলিক শান্তিরক্ষায় বাধা সৃষ্টি করে।”
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন বহু বার পাকিস্তান প্রসঙ্গে উঠে এসেছে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের কন্ঠে। গত ১১ এপ্রিল, মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলায় এক জনসমাবেশে বক্তৃতা করার সময় ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, “জম্মু-কাশ্মীর যে ভাবে উন্নয়নের দিকে এগোচ্ছে, তা দেখে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ মনে করছে যে, তাদের উন্নতিসাধন কেবল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতেই সম্ভব। পাকিস্তানের পক্ষে তাদের উন্নতি সম্ভব নয়। এর পর পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষেরা হয়তো বলবেন, তারা ভারতের সঙ্গে থাকতে চান। পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে।”
এপ্রিলের শুরুতে কেরালার তিরুঅনন্তপুরমে একটি সাংবাদিক বৈঠকে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে কোনও দলের নয়, সারা দেশের একটি অবস্থান রয়েছে। ভারতের সংসদ ঐক্যবদ্ধ ভাবে সেই অবস্থান নিয়েছে এবং দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দল সেই অবস্থানকে সমর্থন করেছে। আমরা কখনও মেনে নেব না যে, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের অংশ নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy