দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতে থাকতে হবে। এমনটাই জানাল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। শনিবার সিবিআইয়ের আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। কেজরীওয়ালকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরীকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। বর্তমানে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। তিন দিন আগে গত ২৬ জুন একই মামলায় আম আদমি পার্টির সর্বময় কর্তাকে আদালতে গিয়ে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারা তাঁকে তিন দিনের হেফাজতেও পেয়েছিল। সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শনিবার কেজরীকে আদালতে হাজির করানো হয়। আরও ১৪ দিন তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে তিহাড় জেলেই থাকতে হবে। হেফাজতের মেয়াদ শেষ হলে ওই দিন দুপুর ২টো নাগাদ জেল থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আবার কেজরীকে আদালতে হাজির করানো হবে।
শনিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারক সুনেনা শর্মার বিশেষ বেঞ্চে কেজরীর মামলাটি উঠেছিল। সিবিআই জানিয়েছিল, তদন্তের অগ্রগতি এবং প্রকৃত ন্যায় বিচারের স্বার্থে কেজরীর আরও কিছু দিন হেফাজতে থাকা প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় সংস্থা আরও জানায়, তিন দিন তাদের হেফাজতে থাকাকালীন কেজরী তদন্তে সহযোগিতা করেননি। বরং ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। এমনকি, তিনি প্রমাণের বিরোধিতাও করেছেন বলে অভিযোগ। শুনানির পরে রায় দান স্থগিত রেখেছিল আদালত। শনিবার বিকেলে রায় ঘোষণা করা হল। কেজরীকে জেল হেফাজতে পাঠাল আদালত।
গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরীকে গ্রেফতার করে ইডি। তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি। ফলে দেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হন, যাঁকে পদে থাকাকালীন গ্রেফতার করা হয়। এর পর লোকসভা ভোটের সময়ে তাঁকে কিছু দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার মেয়াদ শেষ হলে ২ জুন আবার তিহাড় জেলে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন কেজরী। গত সপ্তাহে দিল্লির আদালত কেজরীর জামিন মঞ্জুর করেছিল। তার বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন করে ইডি। সেখানে জামিন স্থগিত হয়ে যায়। পরে নতুন করে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy