ফাইল চিত্র।
সত্তরে সত্তর আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল্লিতে পুরোদমে ভোটযুদ্ধে নেমে পড়েছেন অরবিন্দ কেজরীবাল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর দল এখনও সব আসনে প্রার্থী স্থির করতে পারেনি। দু’দফায় বৈঠকে বসে সনিয়া গাঁধীও চূড়ান্ত করতে পারলেন না পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা।
উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বক্তব্য, ‘‘পাঁচ বছর কাজ করেছি। মানুষ ভোট দেবে কাজ দেখেই। ফলে আমাদের জয় নিয়ে সংশয় নেই।’’ আম আদমি পার্টির বক্তব্য, হেরে যাওয়া দলের নৌকায় কে সওয়ার হতে চাইবে? সে কারণেই তাদের দলে প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না।
তিন দিন আগেই সনিয়া দিল্লির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে আবেদন করেন, সব বড় নেতাকেই ভোটে লড়তে হবে। এ কথা শুনেই নাকি অনেক প্রবীণ নেতা মুখ লুকোচ্ছেন। ইস্তাহার কমিটির দায়িত্ব অজয় মাকেনের হাতে দিয়েছেন সনিয়া। কিন্তু ভোটে লড়ার প্রস্তাব শুনেই তিনি দলকে জানিয়েছেন, পারিবারিক কারণে আমেরিকায় পাড়ি দিচ্ছেন। দলের সূত্রের মতে, আরও কিছু প্রবীণ নেতাও উৎসাহী নন ভোটে লড়তে। তাও আজ মোটের উপর ৪৫টির মতো আসনে প্রার্থী স্থির হয়েছে। রাহুল গাঁধীর ইচ্ছানুসারে কিছু যুব নেতাকেও প্রার্থী করছে কংগ্রেস।
দিল্লির পর ভোট বিহারে। সে কথা মাথায় রেখে আরজেডির সঙ্গেও দিল্লিতে জোট করার কথা ভাবছে কংগ্রেস। সূত্রের মতে, সাতটি আসন চেয়েছিল আরজেডি। কংগ্রেস চারটি দিতে রাজি হয়েছে। সন্ধ্যায় বৈঠকে বসে বিজেপিও। সপ্তাহের গোড়াতে অমিত শাহ দুই রাত বৈঠক করেছেন প্রাথমিক কৌশল রচনা করতে। দলের এক নেতা জানান, পরিস্থিতি প্রতিকূলে থাকায় দলের মুখ মোদীই। বিজেপির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হবে, ভোটের চরিত্রটি যতটা সম্ভব জাতীয় স্তরে নিয়ে যাওয়ার। বিজেপিও চায়, সদ্য আট মাস আগে জিতে আসা বিজেপির সাংসদরা ময়দানে নামুন।
আজ দিল্লির দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভড়েকর ধিংরা কমিটির রিপোর্টকে সামনে রেখে ফের শিখ দাঙ্গার বিষয় টেনে আনেন। আর নির্ভয়া-কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি দিতে দেরি করার জন্য আপ সরকারকে দায়ী করেন। শিখ-দাঙ্গা নিয়ে প্রেক্ষিতে কংগ্রেসের বক্তব্য: আরএসএস-এর ৩০ জনের বিরুদ্ধেও এফআইআর আছে। বিজেপি তাঁদের বিরুদ্ধে কবে পদক্ষেপ করবে? আর সিসোদিয়া বলেন, দিল্লি সরকার ফাঁসি দিতে দেরি করছে না। দিল্লি পুলিশকে তাঁদের হাতে দিলে দু’দিনের মধ্যে ফাঁসির ব্যবস্থা করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy