ঝোড়ো হাওয়ায় উত্তাল সমুদ্র। ফাইল চিত্র।
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে শক্তি বৃদ্ধি করেছে। সেটি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। মঙ্গলবার মৌমস ভবনের দুপুর ২টো ২০ মিনিটের বুলেটিন অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ গভীর নিম্নচাপটি অবস্থান করছিল শ্রীলঙ্কার ত্রিঙ্কোমালি থেকে ৩১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, তামিলনাড়ুর নাগাপত্তিনম থেকে ৫৯০ কিমি দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্বে, পুদুচেরি থেকে ৭১০ কিমি দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্বে এবং চেন্নাই থেকে ৮০০ কিমি দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্বে।
মৌসম ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী, গভীর নিম্নচাপটি গত ৬ ঘণ্টায় ১২ কিলোমিটার গতিবেগে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সেটি ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে বুধবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তার পর আগামী দু’দিন ধরে আরও উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে শ্রীলঙ্কা হয়ে তামিলনাড়ুর দিকে অগ্রসর হবে। আর সে কারণেই তামিলনাড়ু এবং উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশে সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন।
২৬ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই দুই রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিরও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ২৬ এবং ২৭ নভেম্বর তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই পরিস্থিতি জারি থাকবে। অন্য দিকে, উপকূলীয় অন্ধ্র, ইয়ানাম এবং রায়লসীমার কোনও কোনও জায়গায় ২৮-৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তামিলনাড়ুর মায়িলাদুথুরাই, নাগাপত্তিনম, তিরুভারুরে বৃষ্টির চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কুড্ডালুর, আরিয়ালুর, তাঞ্জাভুর, পুডুক্কোটাই, ভিল্লুপুরম, শিবগঙ্গা, চেন্নাই, তিরুভাল্লুরেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী উধয়নিধি স্ট্যালিন রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন যে, এই দুর্যোগ সামলাতে সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত। তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পুদুচেরিতে মৎস্যজীবীদের এই সময়ে সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy