বিধানসভায় গেলেন আরজি করের নির্যাতিতার বাবা-মা। বিজেপি নেতা সজল ঘোষের সঙ্গে বিধানসভায় আসেন তাঁরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করতেই বিধানসভায় আসেন তাঁরা। ১২টা ২০ মিনিট নাগাদ নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যেরা বিধানসভায় পৌঁছন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। সূত্রের খবর, আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির সঙ্গেও দেখা করেন।
মঙ্গলবার বিজেপি নেতা সজলের সঙ্গে তাঁরা গাড়িতে বিধানসভার মূল গেটে আসেন। তার পর অন্য গেট দিয়ে তাঁরা বিধানসভায় প্রবেশ করেন। প্রথম গাড়িতে ছিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। পিছনের গাড়িতে ছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার ঘরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন দু’জনেই। শুভেন্দু ছাড়া সেখানে বিজেপির অন্য বিধায়কেরাও ছিলেন।
নির্যাতিতার মা বলেন, ‘‘আমার পাশে সবাই দাঁড়াচ্ছে, আগামী দিনে আপনাদেরও আমার পাশে চাই। আমার মেয়েটা কী এমন অপরাধ করল, যে তাকে এমন নির্মম ভাবে মারা হল?’’ এ কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার মা। মহিলারা কি আজও কাজের জায়গায় সুরক্ষিত? বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এই প্রশ্নও তুলেছেন নির্যাতিতার মা। তাঁর কথায়, ‘‘আজও জানতে পারলাম না, সেই রাতে আমার মেয়ের সঙ্গে কী ঘটেছিল।’’ কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার বাবাও। তাঁর চোখ মুছিয়ে দিতে দেখা যায় বিরোধী দলনেতাকে। নির্যাতিতার বাবার কথা শুনে কেঁদে ফেলেন বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরিও।
আরও পড়ুন:
এর পরই শুভেন্দু আশ্বাস দেন, নির্যাতিতার জন্য বিচারের দাবিতে আগামী ১০ ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণ ভাবে, আইন এবং গণতন্ত্র মেনে বিধানসভার ভিতরে এবং বাইরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং স্বার্থ ছাড়াই প্রধান বিরোধী দলের সকল বিধায়ক ধর্নায় বসবেন। দ্রুত এবং দৃষ্টান্তমূলক বিচার যাতে হয়, সেই দাবিও জানাবেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে চারতলার সেমিনার হল থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় উত্তাল হয় গোটা রাজ্য। এমনকি প্রতিবাদের আঁচ রাজ্য থেকে দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও পৌঁছয়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে নির্যাতিতার জন্য বিচারের দাবিতে পথে নামেন সাধারণ মানুষ। চিকিৎসকেরা আন্দোলনে নামেন। চলে অনশন এবং কর্মবিরতিও। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া চলছে।