ঘূর্ণিঝড় বিপর্যস্ত চেন্নাইয়ে জলযন্ত্রণা। ছবি: পিটিআই।
ঘূর্ণিঝড় কেটে গিয়েছে, কিন্তু তামিলনাড়ুতে এখনও তার দুর্ভোগ কাটেনি। বহু এলাকা এখনও জলমগ্ন। খাবার এবং পানীয় জলের সঙ্কটে হাহাকার দেখা দিয়েছে চারদিকে। শনিবার তামিলনাড়ু সরকার চেন্নাই-সহ একাধিক এলাকায় সমস্ত বেসরকারি স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চেন্নাইয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৪।
চেন্নাই ছাড়াও স্কুল বন্ধ থাকবে কাঞ্চিপুরম, তিরুভাল্লুর এবং চেঙ্গালপাট্টুতে। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে এই এলাকাগুলি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টানা তিন দিন মুষলধারে বৃষ্টির ফলে চেন্নাইয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছিল। বৃদ্ধ এবং শিশুদের পরিবহণের জন্য রাস্তায় নামাতে হয়েছিল নৌকা। শনিবার জল কিছুটা নামলেও ভোগান্তি কমেনি। এখনও বহু এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। অনেকে ঘরছাড়া।
ঝড়বৃষ্টিতে মৃত্যুও বেড়েছে। ভেঙে পড়া বেশ কিছু বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দেহ। শুক্রবার বিদ্যস্পৃষ্ট হয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে তিরুভাল্লুরে। তার আগের দিন ওই এলাকাতেই তিন জন বন্যার জলে তলিয়ে গিয়েছেন।
তামিলনাড়ু সরকারের তরফে ইতিমধ্যে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। সেই কাজে বরাদ্দ হয়েছে এক কোটি টাকা। সোমবারের মধ্যে যাতে স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন শুরু করা যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে।
কেরলে ইতিমধ্যে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। শনিবার তামিলনাড়ু, পুদুচেরী এবং কেরলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে মৌসম ভবন। এ ছাড়াও ভারী বৃষ্টি হতে পারে তিরুপুর, দিন্দিগুল, থেনি, বিরুধুনগর, শিবগঙ্গা, পুদুকোট্টাই, তাঞ্জাভুরেও। বৃষ্টি বাড়লে ক্ষয়ক্ষতি এবং ভোগান্তিও আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy