ওড়িশা এবং অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে জাওয়াদ। ফাইল চিত্র।
আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যেই বঙ্গোপসাগর উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপ শনিবার সকালে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিয়ে উত্তর-অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশা উপকূলের মাঝামাঝি কোনও জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে।
৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগের ঝড় এবং দমকা হাওয়া এর পর উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব অভিমুখে বাঁক নিতে পারে। আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের অদূরের তৈরি হওয়া নিম্নচাপ বলয় বৃহস্পতিবার গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল। গত ছ’ঘণ্টায় তা গড়ে ৩২ কিলোমিটার গতিবেগে পূর্ব উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে শুরু করেছে।
মৌসম ভবন জানাচ্ছে, শুক্রবার সকালে গভীর নিম্নচাপটির অবস্থান ছিল বঙ্গোপসাগরের গভীরে। অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম থেকে ৫৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে, ওড়িশার গোপালপুর সৈকত থেকে ৬৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে এবং ওড়িশার পারাদ্বীপ বন্দর থেকে ৭৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে।
জাওয়াদের ‘অভিঘাতে’ জেরে আগামী শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টি হতে পারে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। দুই উপকূলবর্তী জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঝড়েরও সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া সমস্ত ট্রলার, বোট এবং নৌকাগুলিকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। মৎস্যজীবীদের দ্রুত তীরে ফিরতে বলা হয়েছে। ঝড়বৃষ্টিতে চাষের যাতে ক্ষতি না হয় সেই কারণে রবি শস্য দ্রুত তুলে নেওয়ার জন্যও প্রচার চালানো হচ্ছে।
আমপান এবং ইয়াসের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে উপকূলবর্তী ব্লক এবং পুরসভাগুলিতে মোটরচালিত করাত, দড়ি, গামবুট, হেলমেট, টর্চ ইত্যাদি সামগ্রী বিলি করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy