প্রতীকী ছবি।
দক্ষিণ আফ্রিকা জুড়ে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার নয়া রূপ ‘ওমিক্রন’ (ভাইরাস বিজ্ঞানের পরিভাষায় বি.১.১.৫২৯)। বৃহস্পতিবার সেখানে নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১১,৫০০। নতুন সংক্রমিতদের বড় অংশই গাউতেং প্রদেশের।
এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র তরফে দক্ষিণ আফ্রিকার ওই প্রদেশে ওমিক্রন সংক্রমণের পর্যবেক্ষণ এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হয়েছে। হু-র আফ্রিকার দায়িত্বপ্রাপ্ত আপৎকালীন আঞ্চলিক অধিকর্তা সালাম গুয়েইয়ে বলেছেন, ‘‘আমরা নজরদারি ও সমন্বয়ের কাজে সহযোগিতার জন্য একটি দল গাউতেং প্রদেশে পাঠিয়েছি। ইতিমধ্যেই আমরা সেখানে জিন সিকোয়েন্সিং-এর মাধ্যমে নয়া রূপটি চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছি।’’
দক্ষিণ আফ্রিকার তরফে ওমিক্রন রূপের সংক্রমণের বিষয়ে প্রথম হু-কে রিপোর্ট করা হয়েছিল গত ২৪ নভেম্বর। কিন্তু সাম্প্রতিক তদন্তে জানা গিয়েছে, তার কিছু দিন আগেই বিভিন্ন দেশে ছড়াতে শুরু করেছিল স্ট্রেনটি। ‘ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজ়িজ় প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল’ (ইসিডিসি) বৃহস্পতিবার দাবি করেছে, আফ্রিকা মহাদেশের বোতসোয়ানায় প্রথম ওমিক্রন চিহ্নিত হয়েছিল ১১ নভেম্বর। এখন তা ৩০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি, তাদের দেশে কবে প্রথম ধরা পড়ে ওই নয়া রূপ। নভেম্বরের শুরু থেকে তারা রোগীদের মধ্যে ভিন্ন উপসর্গ লক্ষ্য করে। করোনা পরীক্ষাতেও ভাইরাসের এস-জিনের অনুপস্থিতি চোখে পড়ে সে দেশের বিজ্ঞানীদের। তার পরে অনুসন্ধান চালিয়ে জানা যায়, করোনাভাইরাসের নতুন রূপের আবির্ভাবের কথা।
নভেম্বরের মাঝামাঝি দক্ষিণ আফ্রিকায় দৈনিক নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ২০০ থেকে ৩০০ মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। সংক্রমণের হারের এই দ্রুত বৃদ্ধি চিন্তা বাড়িয়েছে হু-র। ইতিমধ্যেই ২৪টি দেশে ওমিক্রন সংক্রমণের কথা জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে। তবে এখনও নয়া রূপটির মারণক্ষমতার অনেকটাই অজানা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy