বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে দিয়ে তাঁর সপক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ানোর জন্য নারোড়া পাটিয়া হত্যা মামলায় দোষী প্রাক্তন মন্ত্রী এবং বিজেপি নেত্রী মায়া কোডনানির হাতে রয়েছে আর চার দিন। তাঁকে তেমনটাই জানিয়েছে বিশেষ আদালত। গোধরা পরবর্তী গুজরাত দাঙ্গায় মায়ার হয়ে বলার মতো সাক্ষীর তালিকায় অমিত শাহই শেষ নাম। বাকি যাঁরা ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককেই দু’পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল-জবাব করা হয়ে গিয়েছে।
আদালত আজই অমিত শাহকে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তা সম্ভব না হওয়ায় মায়া আদালতের কাছে দশ দিন সময় চান। তিনি জানান, অমিত শাহকে কোন ঠিকানায় কোর্টে হাজিরার সমন পাঠাতে হবে তা বুঝে উঠতে পারেননি তিনি। তাতে বিশেষ আদালত সাফ জানিয়েছে, আগামী সোমবারের মধ্যে বিজেপি সভাপতিকে সমন পাঠাতেই হবে। আর সাক্ষ্য দেওয়ার বিষয়টি তার পর দিনই সেরে ফেলতে হবে।
২০১২ সালে নারোড়া পাটিয়া মামলায় হত্যার অভিযোগে মায়া কোডনানিকে ২৮ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। আমদাবাদের এই শহরতলি এলাকায় ২০০২ সালে তিন দিনের হিংসায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তত একশো জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। আর সেই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে মায়ার বিরুদ্ধে। ২০০২-এর ওই একই দিনে অর্থাৎ ২৮ ফেব্রুয়ারি নারোড়া গ্রামে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এগারো জনকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এই দ্বিতীয় ঘটনাটিতেই অমিত শাহের সাক্ষ্য প্রয়োজন মায়ার। ২০১৪ সালে মায়া জামিন পেয়েছিলেন। গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, তাঁর মামলা চার মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে।
অমিত শাহকে তাঁর হয়ে সাক্ষ্য দিতে হাজিরা দেওয়ার জন্য কোডনানিকে গত এপ্রিলে অনুমতি দেয় আদালত। মায়ার দাবি, শাহের সাক্ষ্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যে সময়ে আমদাবাদ থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ওই গ্রামে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে, সেই সময়ে তিনি অমিতের সঙ্গে গুজরাত বিধানসভায় ছিলেন। তার পরে যে হাসপাতালে স্ত্রীরোগ-বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি কাজ করেন, সেখানে যান বলে জানিয়েছেন মায়া। ওই সময়ে অমিত এবং মায়া দু’জনেই ছিলেন বিধায়ক।
বিজেপি সূত্রের দাবি, কোডনানির হয়ে সাক্ষ্য দিতে অমিত শাহ আসবেন, এমন সম্ভাবনা কম। গুজরাত পরবর্তী দাঙ্গার পরে মায়া সে রাজ্যে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী হন। এমন হাই-প্রোফাইল দোষীর হয়ে অমিত শাহ সাক্ষ্য দেবেন, তা মোটেই প্রত্যাশিত নয়— দাবি বিজেপির অন্দরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy