প্রতীকী ছবি।
করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্লাজ়মা চিকিৎসায় কোনও লাভ হচ্ছে না বলে আজ জানাল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। বরং গুরুতর অসুস্থদের চিকিৎসায় ঘোড়ার রক্তের সিরাম কতটা উপযোগী, তা খতিয়ে দেখছে তারা।
গুরুতর অসুস্থ কোভিড রোগীদের শরীরে ইতিমধ্যেই সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা মানুষদের অ্যান্টিবডি-সমৃদ্ধ প্লাজ়মা দিয়ে গোড়ার দিকে ভাল ফল পান চিকিৎসকেরা। অনেকে সম্পূর্ণ সেরে ওঠেন বলেও জানা যায়। দিল্লিতে প্লাজ়মা ব্যাঙ্ক তৈরি হয়। কিন্তু আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাংবাদিক সম্মেলনে আইসিএমআরের ডিজি বলরাম ভার্গব বলেন, ‘‘প্লাজ়মা চিকিৎসা কতটা কার্যকরী, তা খতিয়ে দেখতে দেশের ৩৯টি হাসপাতালে ৩৫০ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ৪৬৪ জন রোগীকে প্লাজ়মা দেওয়া হয়েছিল। দেখা গিয়েছে, মৃত্যুহার কমানোর ক্ষেত্রে প্লাজ়মা চিকিৎসার কোনও অবদান নেই।’’
ভার্গব জানান, ঘোড়ার সিরামে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছে। এ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর করোনার বিরুদ্ধে লড়তে অক্ষম হয়ে পড়লে ওই সিরাম প্রবেশ করানো হবে। বিষয়টি নিয়ে হায়দরাবাদের সংস্থা ‘বায়োলজিক্যাল-ই’-র সঙ্গে হাত মিলিয়েছে আইসিএমআর। ভার্গব আরও জানান, রুশ প্রতিষেধক ‘স্পুটনিক-ভি’-র ভারতে প্রয়োগ আপাতত থমকেছে। রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রেড্ডি’জ় ল্যাবরেটরিজ়কে বলা হয়েছে, তারা যেন স্পুটনিকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের বিষয়টি নিয়ে নতুন করে প্রোটোকল জমা দেয়। রেড্ডিজ়ের কাছে আরও কিছু তথ্য চেয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটি।
আরও পড়ুন: ‘ডিজ়িজ় এক্স’ প্রতিরোধে প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য
ভারতে করোনা সংক্রমণ নিয়ে একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এ দেশে সংক্রমণ ছড়ানোয় বড় ভূমিকা রয়েছে ছোটদের। সম্প্রতি ‘সায়েন্স’ পত্রিকায় প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, স্কুল যখন বন্ধ, তখন একমাত্র গোষ্ঠী-সংক্রমণ হলেই ছোটরা এ ভাবে সংক্রমিত হতে পারে। কেন্দ্র যদিও গোষ্ঠী-সংক্রমণের কথা মানেনি।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বাস-ট্রেন চালু হওয়ায় সংক্রমণ আরও দ্রুত ছড়িয়েছে। এ ক্ষেত্রে মূলত তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রে গবেষণা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, বাসে-ট্রেনে দীর্ঘ সময় ধরে কোনও সংক্রমিতের পাশে মাস্ক না-পরে বসে থাকলে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা অন্তত আশি শতাংশ বাড়ে। সেই তুলনায় কোনও সংক্রমিতের মাধ্যমে তাঁর পরিবারে সংক্রমণ ছড়ানোর হার মাত্র ৯ শতাংশ। গবেষণা বলছে, ৭১ শতাংশ সংক্রমিতের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর প্রমাণ মেলেনি। অর্থাৎ খুব অল্প সংখ্যক ‘সুপারস্প্রেডার’ ব্যাপক সংক্রমণ ছড়িয়েছেন।
আরও পড়ুন:পুজোর ভিড়ই ডাকবে বিপদ, আতঙ্কে পুলিশ
গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৬১,২৬৭ জনের। সাম্প্রতিক অতীতে দৈনিক সংক্রমণ এতটা কমেনি। আজ প্রকাশিত নয়া করোনা-চিকিৎসাবিধিতে অশ্বগন্ধা, ‘আয়ুষ-৬৪’ ট্যাবলেট ও চ্যবনপ্রাশ ব্যবহারের কথা বলেছে কেন্দ্র। নুনজলে গার্গল, গরম জলের বাষ্প টানা, হালকা শরীরচর্চা ও পরিমিত আহারের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে তাতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy