প্রতীকী ছবি।
হোম কোয়রান্টিনে কারও মৃত্যু হলে সরকারের কোন দফতর সৎকার করবে— এই নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও নির্দেশিকা না-থাকায় ভুগতে হচ্ছে মানুষকে। আগরতলা শহরের একটি ফ্ল্যাটে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত ৯২ বছরের এক বৃদ্ধার দেহ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পড়ে ছিল ঘরের মধ্যেই। ফলে দিনভর ওই বাড়ির সব ফ্ল্যাটের বাসিন্দাদের ঘরবন্দি হয়ে কাটাতে হয়। পরে এলাকার এক যুবক নিজের উদ্যোগে পিপিই কিট পরে মৃতদেহ নামিয়ে এনে সৎকার করতে সাহায্য করে। এই অভিজ্ঞতার পরে কোভিডে বাড়িতে কারও মৃত্যু হলে যাতে দ্রুত সৎকারের ব্যবস্থা করা যায়— তা নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা করছে জেলা প্রশাসন।
ত্রিপুরায় প্রায় প্রতিদিনই নতুন সংক্রমণের রেকর্ড হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৯১ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ মিলেছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪,৫৪৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জনের মৃত্যুতে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৩৫৷ রাজ্যে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত মহানির্দেশক ও দু’জন মহকুমাশাসক করোনা সংক্রমিত হয়েছেন।
জেলা ভিত্তিক আক্রান্তের হিসেব: পশ্চিম ত্রিপুরায় ৩০৪ জন, উত্তর ত্রিপুরায় ৮৬ জন, সিপাহীজলায় ৬৪ জন, ধলাইয়ে ৬১ জন, দক্ষিণ ত্রিপুরায় ৫৬ জন, খোয়াইয়ে ৫৩ জন, গোমতী জেলায় ৪৯ জন এবং উনকোটিতে ১৮ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ২১১ জন করোনা আক্রান্ত সুস্থ হওয়ায় ছুটি পেয়েছেন। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫১৯৫ জন।
স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে দেখা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ৭২,০৬৫ জন করোনা আক্রান্ত সন্দেহে নজরদারিতে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৪ দিনের সময়সীমা অতিক্রম করেছেন ৬৮,১৪১ জন। বর্তমানে বাড়িতে কোয়রান্টিনে রয়েছেন ৩৭৩৬ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়রান্টিন রয়েছেন ৩১২ জন। ত্রিপুরায় এ পর্যন্ত ২,৮৯,৩৬৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy