— প্রতীকী চিত্র।
‘বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ (বিএসকে) গুলিতে আর্থিক লেনদেনের অনুমতি আগেই দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই আর্থিক লেনদেনের ক্ষমতাও ক্রমশ বাড়ানো হয়েছে। রাজ্য সরকারের বার্ষিক রিপোর্টে বিএসকে-গুলির মাধ্যমে গত এক বছরে ৭৯% রাজস্ব বৃদ্ধির দাবি করা হয়েছে। সরকারের আরও দাবি, বিভিন্ন পরিষেবার প্রশ্নে ফড়ে বা দালালচক্র বিএসকে-গুলিতে সক্রিয় হতে পারছে না। ফলে এগুলির উপর সাধারণ নাগরিকদের নির্ভরতা বাড়ছে। যা আখেরে বাড়াচ্ছে সরকারের আয়ও।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বিএসকে-র ‘ই-ওয়ালেট’ লেনদেন পরিষেবা হয়েছিল ১৬৯ কোটি টাকা। ২০২৪ সালে সেই পরিমাণই বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছেছে ৩০৩ কোটি টাকায়। শতাংশের নিরিখে বৃদ্ধি ৭৯.৩%। রিপোর্ট আরও জানাচ্ছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে আর্থিক পরিষেবা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৪%। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে তা ৩৯%। ওই একই সময়ের তুলনায় কৃষিক্ষেত্রের সহায়তা ২১%, সামাজিক প্রকল্পগুলিতে ২৫% এবং শিক্ষাক্ষেত্রে তা ৫৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিষেবার প্রশ্নে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি রয়েছে পূর্ব বর্ধমান এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। রাজ্যের দাবি, গত এক বছরে একদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ানো হয়েছে বিএসকে-র সংখ্যা। সেগুলিতে সম্মিলিত ভাবে প্রায় ১.৩৯ কোটি মানুষও কোনও না কোনও পরিষেবা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তফসিলি জাতিভুক্ত প্রায় ২৪.৫০ লক্ষ, তফসিলি জনজাতিভুক্ত প্রায় ৫.৬৩ লক্ষ, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত (ওবিসি-এ) ৭.০৯ লক্ষ, ওবিসি-বি ৬.৫১ লক্ষ এবং সাধারণ শ্রেণিভুক্ত প্রায় ৯৫.৩৭ লক্ষ মানুষ রয়েছেন।
বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, স্থানীয় স্তরে বাড়ির কাছে এমন কেন্দ্র গড়ায় উৎসাহ দিচ্ছে রাজ্য। তাতে জমি-বাড়ির খাজনা, মিউটেশন খরচ, লিজ়ের অঙ্ক, বিদ্যুৎ বিল-সহ বিভিন্ন পরিষেবার প্রশ্নে সরকারকে যে অর্থ দিতে হয়, তা বিএসকে-গুলির মাধ্যমেই দেওয়া যাচ্ছে। সরকারের সব ধরনের প্রকল্পের পরিষেবা পেতেও এই কেন্দ্রগুলিকে সক্রিয় করা হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৩৫৬১টি বিএসকে চালু রয়েছে। আরও ১৪৩১টি নতুন বিএসকে চালু করবে নবান্ন। তার মধ্যে কলকাতা পুরসভা এলাকা হবে নতুন আরও ৩০টি। ফলে দূরবর্তী সরকারি কোনও কার্যালয়ে গিয়ে এই সব কাজ করতে হচ্ছে না মানুষকে। তাতে সময়, যাতায়াতের খরচ যেমন বাঁচছে, কোনও কোনও ক্ষেত্রে ফড়েদের দৌরাত্ম্যও এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। আবার এখন অনেক পরিষেবা ডিজিটাল হওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলিতে তা করিয়ে নেওয়ার সুবিধা নিখরচায় পাচ্ছেন উপভোক্তারা। সেই কারণে আগের তুলনায় এমন কেন্দ্রগুলির চাহিদা তৈরি হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy