রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। ফাইল চিত্র।
গুজরাতের ঘটনা নিয়ে যখন সব বিরোধী দল বিজেপির সমালোচনায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তখন একেবারে ভিন্ন বিষয়ে টুইট করে নতুন একটি বিতর্ক উস্কে দিলেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
গুজরাতের মোরবী শহরে মাচ্ছু নদীর উপর কেবল সেতু ভেঙে রবিবার প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, সেই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল এখনও পর্যন্ত যে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে, তাতে তেমন ‘ঝাঁঝ’ নেই। তবে রাম রহিমকে কেন্দ্র করে অমিত যে টুইটটি করেছেন, তাতে বিতর্কের যথেষ্ট উপাদান রয়েছে। এ নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চাও।
অমিতের টুইট-বক্তব্য শুধুমাত্র রাম রহিমকে ঘিরেই। রাম রহিমের আশ্রমে হওয়া সৎসঙ্গে বিজেপি নেতাদের অনেকের যাওয়া-আসা নিয়ে অমিত যেমন প্রশ্ন তুলেছেন, তেমনই দাবি করেছেন প্রয়াত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সেই আশ্রম-যাত্রা নিয়েও। অমিত লিখেছেন, ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত এবং ২০ বছরের বেশি কারাদণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত রাম রহিম ৪০ দিনের জন্য প্যারোলে জেলের বাইরে রয়েছেন। এই সময়েই তাঁর আয়োজিত সৎসঙ্গে বিজেপি নেতাদের যোগদান বিস্মিত করছে। এই প্রসঙ্গেই তাঁর দাবি, কোনও একটি জিএসটি কাউন্সিল বৈঠকে মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতিতে প্রয়াত অরুণ জেটলি তাঁদের বিস্ফোরক একটি গল্প শুনিয়েছিলেন রাম রহিমের আশ্রম-যাত্রা নিয়ে।
অমিতের দাবি, জেটলি তাঁকে বলেছিলেন, রাম রহিমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি বিচারাধীন থাকাকালীন তখনকার বিজেপি নেতা নভোজ্যৎ সিংহ সিধু প্রস্তাব দিয়েছিলেন, তাঁরা আশ্রমে আমন্ত্রিত হিসাবে গেলে পঞ্জাবের (বিধানসভা ভোটে) ৬৯টি নির্ণায়ক আসনে রাম রহিমের সমর্থন পাওয়া যেতে পারে। তাই সিধু এবং জেটলি হেলিকপ্টারে করে সেই আশ্রমে পৌঁছে ‘গুফায়’ গিয়েছিলেন। কিছু কথার পরে রাম রহিমের এক সঙ্গী তাঁদের জানান, একটি শর্তেই বিজেপিকে সমর্থন করা হবে। অমিতের দাবি, জেটলি জানিয়েছিলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়ে দ্রুত তাঁরা হেলিকপ্টারে করে ফিরে গিয়েছিলেন।
এখানেই অমিত বৃত্ত সম্পূর্ণ হওয়ার দাবি করেছেন। টুইটে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “প্যারোলে থাকা রাম রহিমের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের দেখা করার ঘটনা কি নেহাতই ঘটনাচক্র? নভেম্বরে রয়েছে আদমপুর উপনির্বাচন এবং রয়েছে হরিয়ানার পঞ্চায়েত ভোট। বিষয়টি বিস্ময়ের।”
তবে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, যাঁর বক্তব্য তুলে ধরে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি এখন জীবিত নেই। ফলে যে কথা বলা হচ্ছে, তার সত্যতা যাচাইয়ের কোনও জায়গা নেই। হরিয়ানা কংগ্রেসের মুখপাত্র ডি পি কৌশিকের কথায়, “আদালত রাম রহিমকে প্যারলে মুক্তি দিয়েছে। এতে আমাদের কোনও ভূমিকা নেই। বিষয়টি আদালতের বিচার্য। এ নিয়ে রাজনীতি না হওয়াই বাঞ্ছনীয়।”
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই জানাচ্ছেন, সামনেই হিমাচল প্রদেশের নির্বাচন। দল নির্বিশেষে আপ, বিজেপি এবং কংগ্রেসের নেতাদের অনেকেই রাম রহিমের ‘আশীর্বাদ’ নিতে পৌঁছে যাচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy