কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিল কংগ্রেস। গাঁধী পরিবার অমেঠীতে কৃষকদের জমি আত্মসাৎ করেছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ এনেছিলেন স্মৃতি। সেই অভিযোগে আপত্তি তুলে স্মৃতির কাছে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের আইনজীবী ওই নোটিসে বলেছেন, ভিত্তিহীন কথা বলার জন্য কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীকে ক্ষমতা চাইতে হবে। নইলে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করবে কংগ্রেস।
স্মৃতি অবশ্য নোটিস পেয়েও থেমে যাননি। আজ তিনি বলেন, ‘‘আমার সমালোচনায় কংগ্রেসের কিছু নেতা অস্থির হয়ে পড়েছেন। আসলে কংগ্রেস মনে করে মহিলা মাত্রই অবলা। কিন্তু এ বার ওরা টের পাবে। আমাকে গরাদে পুরে দিলেও সমালোচনা থামাব না।’’ গত লোকসভা ভোটে অমেঠীতে রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে লড়ে হেরে গিয়েছিলেন স্মৃতি। কিন্তু রাহুল গাঁধীকে চাপে রাখতে অমিত শাহরা ইরানিকে এখনও অমেঠীতে সক্রিয় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সুবাদেই অমেঠীতে গিয়ে স্মৃতি অভিযোগ আনেন, রাহুল গাঁধী জমি অধ্যাদেশের বিরোধিতা করছেন, কিন্তু গাঁধী পরিবারই গরিবের জমি গ্রাস করে নিয়েছে। অমেঠীতে সম্রাট সাইকেল কারখানার জমি আত্মসাৎ করেছে রাজীব গাঁধী অছি পরিষদ। আদালত ওই জমি ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও তা করা হয়নি। এ নিয়ে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকও করেন স্মৃতি।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে আগেই উড়িয়ে দিয়েছিল কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি জানিয়েছেন, আদালতের তত্ত্বাবধানে সম্রাট সাইকেলের জমি নিলাম হয়েছিল এবং তা অধিগ্রহণ করেছিল রাজীব গাঁধী অছি পরিষদ। তার পর কাল স্মৃতিকে যে নোটিস পাঠানো হয়েছে তাতে তাঁর অভিযোগ যে ভুল তা ছত্রে ছত্রে বর্ণনা করা হয়েছে। নোটিসে বলা হয়েছে, ওই জমিটির মালিকানা আগে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের কাছে ছিল। সম্রাট সাইকেল জমিটি তাদের কাছ থেকেই লিজ নিয়েছিল। এখন রাজীব গাঁধী অছি পরিষদও দরপত্রের মাধ্যমে জমিটি লিজ পেয়েছে। অথচ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সে কথা জেনে বা না জেনে কংগ্রেস তথা গাঁধী পরিবারের উপর কালি লেপতে চেয়েছেন। এতে কংগ্রেসের মানহানির যেমন চেষ্টা হয়েছে, তেমনই আদালতেরও অবমাননা হয়েছে। তাই স্মৃতিকে ক্ষমা চাইতে হবে। সেই সঙ্গে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে যাতে দ্বিতীয় বার এ ধরনের অভিযোগ তিনি না করেন।
তবে নোটিস পেয়ে স্মৃতি আজ কংগ্রেস তথা গাঁধী পরিবারের সমালোচনা করেছেন ঠিকই, কিন্তু সম্রাট সাইকেলের জমি নিয়ে অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করেননি। উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র অখিলেশ সিংহ বলেন, ‘‘মিথ্যা প্রচার করা বিজেপির চরিত্রে রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যরা স্বাভাবিক ভাবেই ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু প্রতিটি মিথ্যা প্রচার নিয়ে কংগ্রেস প্রশ্ন তুলবে। সহজে ছেড়ে দেবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy