কোন রাজনৈতিক দলকে কারা চাঁদা দিচ্ছে, জানতে পারছেন না ভোটাররা। কোন দলের কত টাকা চাঁদা মিলছে, তা-ও ভোটারদের অজানা থাকছে। তা হলে নির্বাচনী বন্ডে কী ভাবে রাজনৈতিক দলের চাঁদায় স্বচ্ছতা আসবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস।
দু’দিন আগেই অরুণ জেটলি ‘দিল্লি ইকনমিক্স কনক্লেভ’-এ দাবি করেছিলেন, এ দেশের ভোটে যে ‘অদৃশ্য টাকা’ খাটে, গত ৭০ বছরে নির্বাচন কমিশন তার কোনও সমাধান করতে পারেনি। সেই সমস্যার সমাধানে তিনি বাজেটে যে নির্বাচনী বন্ড চালুর ঘোষণা করেছেন, কোনও রাজনৈতিক দলই এর থেকে ভালো দাওয়াই দিতে পারেনি।
আজ কংগ্রেস জানিয়েছে, জেটলির এই দাবি পুরোটাই ভাঁওতা। গত মে মাসেই দলের কোষাধ্যক্ষ মতিলাল ভোরা জেটলিকে চিঠি লিখে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে তাঁদের আপত্তির কথা জানিয়েছেন। জেটলি কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে চিঠি লিখে নির্বাচনী বন্ডের বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতেই জেটলিকে জবাব দেন মতিলাল। জেটলি মতিলালের চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠিও দিয়েছেন।
বাজেটের ঘোষণা অনুযায়ী, নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক নির্বাচনী বন্ড বাজারে ছাড়বে। কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা সেই বন্ড কিনে রাজনৈতিক দলকে দিতে পারে। তা ওই দলের নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। জেটলির যুক্তি ছিল— কে চাঁদা দিচ্ছেন, তাঁর পরিচয় গোপন থাকায় বিরোধী দলকে চাঁদা দেওয়ার জন্য শাসক দলের হাতে হেনস্থা হতে হবে না। ব্যাঙ্কের মাধ্যমে লেনদেন হওয়ায় কালো টাকার খেলা বন্ধ হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সীতারাম ইয়েচুরিরা আগেই মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে আপত্তি তুলেছিলেন। মমতার যুক্তি ছিল, এর ফলে আঞ্চলিক দলগুলিই সব থেকে বেশি বিপদে পড়বে। ইয়েচুরির অভিযোগ ছিল, এর ফলে কে কার থেকে চাঁদা তুলছে, তা আরও অস্বচ্ছ হয়ে উঠল। এমনকী নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। যার জন্য জেটলি ‘ইকনমিক্স কনক্লেভ’-এ কমিশনকেই দুষে অভিযোগ তুলেছেন, কমিশন ৭০ বছর ধরে ভোটে অদৃশ্য টাকার খেলা বন্ধ করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়ে এখন বন্ড নিয়ে আপত্তি তুলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy