কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি কে, শশী তারুর নাকি মল্লিকার্জুন খাড়্গে! —ফাইল ছবি।
শশী তারুর নাকি মল্লিকার্জুন খাড়্গে! কে হবেন কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি? সোমবার, ১৭ অক্টোবর ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন কংগ্রেসের অন্তত ৯ হাজার জন প্রতিনিধি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভোট দেবেন তাঁরা। ভোট দেবেন ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় শামিল রাহুল গান্ধীও। ফল ঘোষণা হবে ১৯ অক্টোবর।
সোমবার সারা দেশে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরের পাশাপাশি সব রাজ্যে কংগ্রেসের প্রদেশ দফতরেও চলবে ভোটগ্রহণ। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ২৪ নম্বর আকবর রোডে সদর দফতর থেকে ভোট দেবেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। তাঁর সঙ্গে সেখানে ভোট দেবেন দলের সাধারণ সম্পাদক, রাজ্য সভাপতি, সম্পাদক এবং যুগ্ম সম্পাদকরা।
ভোটের জোর প্রস্তুতি চলছে কলকাতায় প্রদেশ কংগ্রেস দফতর বিধান ভবনেও। দলীয় সূত্রে খবর, সেখানে ভোট দেওয়ার কথা ৫৪৩ জন প্রতিনিধির। কলকাতার দফতরে ভোট দিতে পারেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। অধীর চৌধুরী বহরমপুরে। সকালে রওনা দিয়ে কলকাতা আসবে। এখানে ভোট দেবে। সেখানেই নিজের ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন বিরোধী নেতা আবদুল মান্নান। বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী দিল্লিতে দলের সদর দফতরে ভোট দিতে পারেন বলে খবর।
কংগ্রেসের সেন্ট্রাল ইলেকশন অথরিটি (সিইএ) জানিয়েছে, দেশে মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ৩৬টি। বুথের সংখ্যা ৬৭। প্রতি ২০০ ভোটার পিছু একটি করে বুথ নির্ধারিত হয়েছে। যাত্রার কারণে রাহুলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে। রবিবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ টুইট করে জানিয়েছেন, সোমবার কর্নাটকের বল্লারির সাঙ্গানাকাল্লুতে যাত্রার শিবির থেকে ভোট দেবেন রাহুল। তাঁর সঙ্গে ভোট দেবেন রাহুলের যাত্রায় অংশ নেওয়া আরও ৪০ জন ‘ভারত যাত্রী’।
মোট প্রায় ন’হাজার প্রতিনিধি ভোট দেবেন। গোপন ব্যালটে হবে ভোটগ্রহণ। এই প্রথম বার ভোটদাতাদের কিউআর কোড-সহ পরিচয় পত্র দিয়েছে সিইএ। এই পরিচয় পত্র না থাকলে ভোট দেওয়া যাবে না। সিইএর তরফে জানানো হয়েছে, ভোটদানে স্বচ্ছতা আনার কারণেই এই ব্যবস্থা। কড়া নিরাপত্তায় এই সব কার্ড ছাপিয়ে প্রতিনিধিদের মধ্যে বিলি করা হয়েছে।
লড়াই হবে খড়্গে এবং তারুরের মধ্যে। এর আগে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত এবং দিগ্বিজয় সিংহ ঘোষণা করেছিলেন যে, তাঁরা ভোটে মনোনয়ন পেশ করবেন। শেষ পর্যন্ত দু’জনেই সরে যান। খড়্গের নাম প্রস্তাব করেন দিগ্বিজয়। কংগ্রেসের জি-২৩ ‘বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী’রও অনেকেই খড়্গের নামই প্রস্তাব করেছেন। ২০২০ সালের অগস্টে স্থায়ী সভাপতি চেয়ে গুলাম নবি আজাদ, তারুর-সহ এই ২৩ জনই চিঠি দিয়েছিলেন সনিয়াকে। সেই থেকে দলে চাপান-উতোর। অবশেষে কংগ্রেসে সভাপতি নির্বাচন। শেষ পর্যন্ত কে হবেন সভাপতি, জানা যাবে ১৯ অক্টোবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy