মল্লিকার্জুন খড়্গে। —ফাইল চিত্র।
বিজেপি-বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র শনিবারের ভার্চুয়াল বৈঠক থেকে চেয়ারপার্সন করা হল কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে। শনিবারের অন্যতম আলোচ্য বিষয় ছিল এক জনকে আহ্বায়ক বা চেয়ারপার্সন ঠিক করা। এ ব্যাপারে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নাম নিয়েই সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছিল গত কয়েক দিন ধরে। কিন্তু সূত্রের খবর, নীতীশের নাম প্রস্তাবিত হলেও, তিনি অস্বীকার করেন। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস সভাপতি খড়্গেকেই চেয়ারপার্সন করল ‘ইন্ডিয়া’। শনিবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেয়নি বাংলার শাসকদল তৃণমূল। তবে চেয়ারপার্সন হিসাবে খড়্গের নাম প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বললেন, ‘‘এটাই তো আমাদের নেত্রী মমতা বলেছিলেন। তা হলে এত দিন ধরে জলঘোলা করে লাভ কী হল?’’
‘ইন্ডিয়া’র আগের বৈঠক হয়েছিল গত ১৯ ডিসেম্বর। যদিও সেই বৈঠক ছিল মুখোমুখি। সেখানে মমতা প্রস্তাব দিয়েছিলেন, খড়্গেকে বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হোক। মমতার প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছিলেন আম আদমি পার্টি-র প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালও। যদিও সেখানে এ নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে একাধিক দলের দাবি ছিল, এক জনকে আহ্বায়ক বা চেয়ারপার্সন করা হোক। তাতে বৈঠক ডাকা, ‘ইন্ডিয়া’ভুক্ত দলগুলির সঙ্গে সমন্বয় রাখার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। সেই দায়িত্ব কংগ্রেস সভাপতিকেই দেওয়া হল। অর্থাৎ, কোনও আঞ্চলিক নেতাকে সেই পদে বসানো হল না। সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতাকেই বেছে নেওয়া হল ‘ইন্ডিয়া’র চেয়ারপার্সন হিসাবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জানা যায়, ‘ইন্ডিয়া’র ভার্চুয়াল বৈঠক হবে শনিবার। রাতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে যোগ দেবেন না। কারণ, আগাম বৈঠকের কথা জানানো হয়নি। এমনকি ‘ইন্ডিয়া’র সমন্বয় কমিটির সদস্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও শনিবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেননি। সূত্রের খবর, বৈঠকে নীতীশের নাম প্রস্তাব হলেও তিনি বলেন, কংগ্রেসের কেউ এই দায়িত্ব নিক। তার পরেই খড়্গের নামে সিলমোহর পড়ে।
জানা গিয়েছিল, শনিবারের বৈঠকে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু তার যে খুব অগ্রগতি হয়েছে তেমন খবর নেই। বরং, যেখানে বিষয়টি দাঁড়িয়েছিল, সেখানেই রয়েছে। যদিও কংগ্রেসের সঙ্গে আম আদমি পার্টির দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে বলে খবর। শুক্রবার কংগ্রেস নেতা মুকুল ওয়াসনিকের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন আপের এক প্রতিনিধি। সেখানে দিল্লি এবং পঞ্জাবে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা অনেকটাই এগিয়েছে বলে খবর। শনিবারের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন কেজরীওয়ালও। তবে সারা দেশে আসন সমঝোতা কবে চূড়ান্ত হবে, সেটাই এখন ‘ইন্ডিয়া’র অভ্যন্তরে কোটি টাকার প্রশ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy