ছবি: পিটিআই।
নাগরিকত্ব বিল নিয়ে মনমোহন সিংহের লড়াই হল লালকৃষ্ণ আডবাণীর সঙ্গে।
না, নিজেরা লড়লেন না। তাঁদের নাম নিয়ে লড়ল বিজেপি আর কংগ্রেস। আডবাণী এ বারে ভোটে প্রার্থী হতে পারেননি। কিন্তু রাজ্যসভায় আজ এই বিতর্কের সময়ে উপস্থিত ছিলেন মনমোহন।
অমিত শাহের পাশে বসে বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি জগৎ প্রকাশ নড্ডা প্রথম তোলেন মনমোহনের কথা। ২০০৩ সালে এই রাজ্যসভাতেই বিরোধী দলনেতা হিসেবে মনমোহন তৎকালীন উপপ্রধানমন্ত্রী আডবাণীকে বলেছিলেন, ‘‘দেশভাগের পরে বাংলাদেশের মতো দেশে সংখ্যালঘুরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। পরিস্থিতি যদি এই হতভাগ্য মানুষদের আমাদের দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য করে, তা হলে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে আরও উদার মনোভাব নেওয়াটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।’’ অমিত শাহের কথার সূত্র ধরে নড্ডা বলেন, ‘‘মনমোহন সিংহ যা বলেছিলেন, আমরা তো সেই পথই অনুসরণ করছি।’’
জবাবে কংগ্রেসের কপিল সিব্বল বলেন, ‘‘আপনি শুধু মনমোহন সিংহের উদ্ধৃতি শোনালেন। লালকৃষ্ণ আডবাণী কী বলেছিলেন, জানাননি। তিনি বলেছিলেন, ধর্মের কারণে অত্যাচারিত হয়ে যাঁরা পালিয়ে এসেছেন, তাঁরা শরণার্থী। তাঁরা অনুপ্রবেশকারীর সমতুল হতে পারেন না। কিন্তু যাঁরা অর্থনৈতিক বা অন্য কারণে আসছেন তাঁদের অনুপ্রবেশকারী তকমাই দেওয়া হবে।’’ এর পরেই সিব্বল প্রশ্ন তোলেন, কে ধর্মীয় অত্যাচারে এ দেশে এসেছেন, কে অন্য কারণে তা সরকার কী
করে বুঝবে?
এর জবাব দিতে গিয়ে অমিত শাহ আজ কংগ্রেসের ইতিহাস খুঁড়ে পাল্টা অভিযোগ করেন। বলেন, ‘‘১৯৪৭ সালে ২৬ সেপ্টেম্বর মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীও প্রার্থনা সভায় মাইকে বলেছিলেন, হিন্দু ও শিখেরা পাকিস্তান থেকে ভারতে আসতে চাইলে আসুন। তাঁদের নাগরিকত্ব, রোজগারের ব্যবস্থা ভারত সরকারের করা উচিত। ১৯৯৭ সালে কংগ্রেসও প্রস্তাব গ্রহণ করে, পাকিস্তানের ‘অমুসলিম’দের নিরাপত্তা দিতে বাধ্য ভারত।’’ শাহের দাবি, পি চিদম্বরম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময়েও রাজস্থানের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত পাকিস্তান থেকে সে রাজ্যে আসা হিন্দু ও শিখদের নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবিতে কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছিলেন।
অমিতের কটাক্ষ, সব ক্ষেত্রেই শুধু হিন্দু ও শিখ কিংবা ‘অমুসলিম’-এর কথা বলা হয়েছে। সে বেলায় কংগ্রেস ‘ধর্মনিরপেক্ষ’। বিজেপি পদক্ষেপ করলেই যত দোষ। অশোক গহলৌত অবশ্য দাবি করেছেন, সেই সময়ে তাঁর রাজ্যে শুধু হিন্দু ও শিখেরাই পাকিস্তান থেকে এসেছিলেন। অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ এলে তাঁদেরও নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হত। কংগ্রেস ধর্ম বিচার করে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy