টোকিয়োতে ভারত, আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া-র চতুর্দেশীয় অক্ষ ‘কোয়াড’ বৈঠক। ছবি পিটিআই।
ভারত প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারত, জাপান-সহ বিভিন্ন দেশকে সঙ্গে নিয়ে আমেরিকা সক্রিয়। সেই জোটকে ঠেকাতে এ বার আসরে নামলো বেজিং।
সম্প্রতি পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে ঘুরে ঘুরে চিনের বিদেশমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, অতীতের ঠান্ডা যুদ্ধের স্মৃতিকে উস্কে সমুদ্রপথে তাদের আধিপত্য নিশ্চিত করতে চাইছে ট্রাম্প প্রশাসন। গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তার ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে চাইছে। তাঁর ডাক— পূ্র্ব এশিয়াকে একজোট হতে হবে চিনের নেতৃত্বে।
কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পুরোদস্তুর এক সমুদ্রযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। যার ভূকৌশলগত কেন্দ্রে অবস্থানের কারণে ভারতের উপর ঝড় ঝাপটা আসার সম্ভাবনা প্রবল। আমেরিকা এবং চিন এই দুই মহাশক্তিধর রাষ্ট্রকে কেন্দ্রে রেখে দু’দিকেই অক্ষ তৈরি হবে এবং হয়েছেও। সব মিলিয়ে অদূর ভবিষ্যতে এ’টি ভারতের কাছে লাদাখের পরে আর একটি বড় রণকৌশলগত সঙ্কটক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘সব বাঙালি বাংলাদেশি’! উত্তপ্ত শিলং
গত সপ্তাহে টোকিয়োতে ভারত, আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া-র চতুর্দেশীয় অক্ষ ‘কোয়াড’ বৈঠকে বসে। তার পরেই মালাবার নৌ-মহড়ায় ভারত, আমেরিকা এবং জাপানের সঙ্গে যোগ দিতে রাজি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। মার্কিন কর্তারা প্রকাশ্যেই জানাচ্ছেন, ন্যাটোর মতো একটি সামরিক চেহারা ‘কোয়াড’-কে দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। পাশাপাশি বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত ভাবে চিনকে সমুদ্রপথে রুখতে ওই অঞ্চলে কোয়াডের পাশাপাশি আরও বেশি কিছু ব্লক তৈরি করার কথাও জানাচ্ছে হোয়াইট হাউস।
আরও পড়ুন: গেরুয়া ছোপ মুছতে সক্রিয় অকালি দল
গোটা ঘটনাক্রমে নজর রাখছে চিন। গত সপ্তাহেই চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই সিঙ্গাপুর, তাইল্যান্ড, লাওস এবং মালয়েশিয়া সফর করলেন। পূর্ব এশিয়ার এই দেশগুলিকে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, আমেরিকা তাদের নিরাপত্তার জন্য প্রবল ঝুঁকির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy