রাজেন্দ্রলাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স হাসপাতাল। নিজস্ব চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের মতোই বিজেপি শাসিত আর এক রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও এ বার শিশু মৃত্যুর মিছিল। জামশেদপুরের এমজিএম হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর বিতর্ক কাটতে না কাটতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্যের সব থেকে বড় হাসপাতাল রাঁচীর রাজেন্দ্র ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স বা রিমসে শিশু মৃত্যু নিয়ে।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে আবর্জনার স্তুপে গাড়ি, খালে ভেসে উঠল দু’টি দেহ
গত জুলাই ও অগস্ট মাসে ১০৩ জন শিশু মারা গিয়েছে জামশেদপুরের এমজিএম হাসপাতালে। আর রিমসে শুধু অগস্ট মাসেই শিশু মারা গিয়েছে ১০৩ জন শিশু। গত ছ’মাসে মারা গিয়েছে মোট ৬৭২ জন শিশু। আর এই শিশু মৃত্যুকে হাতিয়ার করেই বিরোধী দলগুলো আন্দোলনে নেমে পড়েছে।
যেমন প্রধান বিরোধী দল ঝাড়খণ্ড মুক্তিমোর্চার শীর্ষ নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের মতোই জামশেদপুরের এমজিএম ও রাঁচীর রিমসেও পরিকাঠামোর অভাবেই এই শিশু মৃত্যুর মিছিল। দুর্নীতির আখড়া এই রাঁচীর রিমস হাসপাতাল। বাজেটে প্রতি বছর স্বাস্থ্য দফতরের জন্য কোটি কোটি টাকা মঞ্জুর হয়। সেই টাকাগুলো কোথায় যায়?’’
রাঁচী থেকে আর্যভট্ট খানের প্রতিবেদন
আরও পড়ুন: তরুণীকে প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি, নির্বিকার পুলিশ
কংগ্রেসের মুখপাত্র অজয় কুমার বলেন, ‘‘রাজ্যের সব থেকে বড় সরকারি হাসপাতাল রিমসে যেখানে ২৪টা জেলা থেকে প্রতি দিন বিপুল সংখ্যক রোগী আসে সেখানে দিনের পর দিন এই পরিকাঠামোতে কী ভাবে এই হাসপাতাল চলে তার জবাব চাই।’’
কথাটা যে বিরোধী দলের নেতারা খুব একটা ভুল বলেননি তা রিমসের শিশু বিভাগের ওয়ার্ডগুলো ঘুরলেই বোঝা যায়। যত বেড তার থেকে অনেক বেশি শিশু ভর্তি রয়েছে। ফলে অনেকেই শুয়ে রয়েছে মাটিতে। অভিযোগ, অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই, নেই নার্সও। যদিও রিমসের ডিরেক্টর বিএল সেরওয়ালের দাবি, ‘‘এত বড় হাসপাতালে গত ছ’মাসে ৮৬ শতাংশের থেকেও কিছু বেশি শিশুকে চিকিৎসা করে সুস্থ করতে পেরেছি।’’
তবে ডিরেক্টরের এই পরিসংখ্যানে চিড়ে ভিজছে না। শুধু বিরোধী দলই নয়, দলের অন্দর থেকে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপিরই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডা। তিনি বলেন, ‘‘সাংঘাতিক ঘটনা। এতে রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়। দ্রুত তদন্ত কমিটি বসানো দরকার।’’
এত দিন চুপ থাকলেও বিরোধী দল ও দলের অন্দরে বিক্ষোভের আঁচ টের পেয়ে শেষ পর্যন্ত মুখ খুলেছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রামচন্দ্র চন্দ্রবংশীও। তিনি বলেছেন, ‘‘স্বাস্থ্য বিভাগের কোনও স্তরের গাফিলতিই বরদাস্থ করা হবে না। তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy