পি চিদম্বরম। ফাইল চিত্র।
আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম সহানুভূতির হাওয়া তোলার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ আনলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল ও ইডির আইনজীবী তুষার মেহতা। চিদম্বরমের পাল্টা অভিযোগ, শুধু হেনস্থা করার জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পরে আইএনএক্স মামলায় ইডিও চিদম্বরমকে হেফাজতে চাইছে। তবে ইডির জন্য তাঁর গ্রেফতারির রক্ষাকবচ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার শীর্ষ আদালতে বিচারপতি আর ভানুমতী এবং বিচারপতি এএস বোপান্নার বেঞ্চের সামনে ইডির আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, চিদম্বরম ইডির হাতে গ্রেফতারি এড়াতে সহানুভূতির হাওয়া তুলতে চাইছেন। চাইছেন বাস্তবতার বাইরের এক জগৎকে প্রতিষ্ঠা করতে। তাঁর দাবি, চিদম্বরমকে অযথা হেনস্থা করার প্রশ্নই নেই। ইডির কাছে এমন তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, যাতে বোঝা যাচ্ছে, এ ক্ষেত্রে বেআইনি লেনদেনের গুরুতর বিষয় জড়িয়ে রয়েছে।
চিদম্বরমের আইনজীবী কপিল সিব্বল ও অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিরা গত কালই অভিযোগ এনেছিলেন, প্রতি মুহূর্তে শুধু হেনস্থা করতেই চিদম্বরমকে গ্রেফতার করতে চাইছে ইডি। ২০০৭-২০০৮ সালে ঘটে যাওয়া দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে দশ বছর পরে কেন মামলা করল ইডি, সেই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
চিদম্বরমের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করার সময়ে অপরাধের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। সেই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করে সিঙ্ঘভি যুক্তি দেন, অপরাধের গুরুত্ব কতটা, তা বিভিন্ন
ব্যক্তির কাছে আলাদা আলাদা ভাবে ধরা পড়ে। তবে কোন অপরাধ কতটা গুরুতর, তা বোঝা যায়, নির্ধারিত শাস্তির বিধান থেকে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সঙ্গে তুলনা করলে সাত বছরের সাজা অনেক কম। আর চিদম্বরমের ক্ষেত্রে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাতে সর্বোচ্চ সাজা সাত বছর। চিদম্বরম পালিয়ে যাচ্ছেন, তেমন সম্ভাবনাও নেই। ফলে তাঁকে গ্রেফতার করার দরকারই নেই।
সিব্বল বলেন, ২০১৮ থেকে ২০১৯-এর মধ্যে ইডি চিদম্বরমকে তিন বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। তাদের প্রশ্নে চিদম্বরমের দেওয়া উত্তর আদালতে পেশ করলেই বোঝা যাবে তিনি আদৌ অভিযোগের জবাব এড়িয়ে গিয়েছিলেন কি না। চিদম্বরমের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার যে অভিযোগ এনেছে ইডি, তার সত্যতা সেই নথি দেখালেই যাচাই হয়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy