Advertisement
E-Paper

জোর করে কুমারীত্ব পরীক্ষা করাতে বাধ্য করা নারীর মর্যাদার অধিকার লঙ্ঘন: ছত্তীসগঢ় হাই কোর্ট

স্ত্রী এর আগে অন্য পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন, এমন অভিযোগে সম্প্রতি স্ত্রীর কুমারীত্ব পরীক্ষার দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। ওই মামলাতেই হাই কোর্টের বিচারপতি অরবিন্দ কুমার বর্মার পর্যবেক্ষণ, স্ত্রীকে তাঁর কুমারীত্বের প্রমাণ দিতে বাধ্য করা যাবে না।

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৫ ১১:৩১
Share
Save

কোনও নারীকে কুমারীত্ব পরীক্ষা করাতে বাধ্য করানো সংবিধানের ২১তম অনুচ্ছেদের অধীনে তাঁর জীবন ও স্বাধীনতার সুরক্ষার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে। সাম্প্রতিক এক মামলায় এ বার এমনটাই জানাল ছত্তীসগঢ় হাই কোর্ট। হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, কোনও পরিস্থিতিতেই কুমারীত্ব পরীক্ষায় অনুমতি দেওয়া নারীর মৌলিক অধিকার, ন্যায়বিচারের মূল নীতি এবং তাঁর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা ও মর্যাদার পরিপন্থী।

স্ত্রী এর আগে অন্য পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন, এমন অভিযোগে সম্প্রতি স্ত্রীর কুমারীত্ব পরীক্ষার দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। ওই মামলাতেই হাই কোর্টের বিচারপতি অরবিন্দ কুমার বর্মার পর্যবেক্ষণ, স্ত্রীকে তাঁর কুমারীত্বের প্রমাণ দিতে বাধ্য করা যাবে না। এমন পরীক্ষার অনুমতিও দেবে না বলে জানিয়েছে উচ্চ আদালত। স্ত্রীর কুমারীত্ব পরীক্ষা করাতে চেয়ে আবেদনকারীর দাবি ‘অসাংবিধানিক’ বলেও উল্লেখ করেছে হাই কোর্ট, কারণ এটি সংবিধানের ২১তম অনুচ্ছেদের আওতায় নারীর মর্যাদার অধিকার লঙ্ঘন করে। বিচারপতি বর্মা বলেন, ‘‘ভারতের সংবিধানের ২১তম অনুচ্ছেদ কেবল জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকারই নিশ্চিত করে না, বরং মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকারও সুনিশ্চিত করে, যা বিশেষত নারীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’’ এই ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকারে কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করা যাবে না বলে জানিয়েছে হাই কোর্ট।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী বিয়ে হয়েছিল ছত্তীসগঢ়ের কোরবা জেলার বাসিন্দা ওই দম্পতির। তবে বিয়ের কিছু দিন পরেই তরুণী তাঁর পরিজনদের জানান, তাঁর স্বামী পুরুষত্বহীন এবং কোনও রকম বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনে অক্ষম। এ বিষয়ে ২০২৪ সালের ২ জুলাই রায়গড় জেলার এক পারিবারিক আদালতে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস)-র ১৪৪ ধারার অধীনে স্বামীর কাছ থেকে মাসিক ২০,০০০ টাকা ভরণপোষণ চেয়ে আবেদন করেন ওই তরুণী। তখনই স্বামী পাল্টা তাঁর স্ত্রীর কুমারীত্ব পরীক্ষা করাতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। স্বামীর অভিযোগ ছিল, দেওরের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে তাঁর স্ত্রীর। সেই বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই এমন অভিযোগ তুলছেন ওই তরুণী। গত ১৫ অক্টোবর পারিবারিক আদালত স্বামীর আবেদন খারিজ করে দিলে সটান হাই কোর্টে ফৌজদারি আবেদন দায়ের করেন তিনি। এ বার সেই আবেদন খারিজ করল হাই কোর্টও। উচ্চ আদালত আরও জানিয়েছে, আবেদনকারী যদি প্রমাণ করতে চান যে পুরুষত্বহীনতার অভিযোগ ভিত্তিহীন, তাহলে তিনি সংশ্লিষ্ট ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে পারেন কিংবা অন্য কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেন।

Virginity Test Chhattisgarh High Court

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}