ছত্তীসগঢ়ের এই সরকারি স্কুলই এখন চর্চার কেন্দ্রে। ছবি: সংগৃহীত।
পড়ুয়ার সংখ্যা শূন্য! অথচ শিক্ষকের সংখ্যা তিন। রয়েছেন প্রধান শিক্ষক এবং দুই সহকারী শিক্ষক। ছত্তীসগঢ়ের এমনই একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুল নিয়ে চর্চা তুঙ্গে।
ঘটনাটি জশপুর জেলার দিওয়ানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। এখানে একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলে কোনও ছাত্র নেই। অথচ তিন জন শিক্ষক রয়েছেন। তাঁরা নিয়মিত আসেন। স্কুল খোলেন। আবার সময় হলেই বেরিয়ে যান। দিনের পর দিন এ ভাবেই চলে আসছে। স্কুল নিয়ে চর্চা শুরু হতেই সেটিকে অন্য স্কুলের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার আলোচনা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক স্তরে।
জশপুর জেলার এই স্কুলের এমন অবস্থা প্রকাশ্যে আসায় সেখানকার শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, জেলার অধিকাংশ স্কুলগুলিরই একই হাল। অভিযোগ উঠছে শিক্ষকদের সদিচ্ছা নিয়েও। স্কুলের উন্নয়নের জন্য বছরে বছরে টাকা আসছে। কিন্তু শিক্ষা ব্যবস্থার এমন হালের কারণে সরকারের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা শুরু হয়েছে নানা মহলে।
দিওয়ানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হলবোয়া এলাকায় একটি বস্তি রয়েছে। সেই বস্তিতে সব মিলিয়ে ১০-১৫টি পরিবারের বাস। সেই বস্তি থেকেও স্কুলে কোনওপড়ুয়া আসে না। কিন্তু স্কুলে কেন কোনও পড়ুয়া ভর্তি হচ্ছে না। কেন পড়াশোনার জন্য আসছে না? স্থানীয়দের অভিযোগ, শিক্ষার প্রসারে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয় না। শিক্ষকদের মধ্যে সদিচ্ছারও অভাব দেখা যায়। অনেক আবার অভিযোগ তুলেছেন, পড়াশোনাও ঠিক মতো হয় না। ফলে দিন দিন পড়ুয়া সংখ্যা কমেছে স্কুলে। শেষমেশ সেই সংখ্যা শূন্যে এসে ঠেকেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy