Advertisement
E-Paper

‘সময়সীমা’ শেষ হতে আর দেড় ঘণ্টা বাকি, ১০ দাবি নিয়ে ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে বসে জুনিয়র ডাক্তারেরা

জুনিয়র ডাক্তারেরা যখন ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা ঘোষণা করছেন, তখন তাঁদের সঙ্গে থাকা বড় দেওয়াল ঘড়িতে সময় রাত ৮টা ৩০। সেই হিসাবে ২১ ঘণ্টা পরেও ধর্মতলায় অবস্থানে বসে জুনিয়র ডাক্তারেরা।

ধর্মতলায় অবস্থানে বসে জুনিয়র ডাক্তারেরা। শনিবার সকালে।

ধর্মতলায় অবস্থানে বসে জুনিয়র ডাক্তারেরা। শনিবার সকালে। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ১০:৫৪
Share
Save

রাত পেরিয়ে সকাল। ধর্মতলায় অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। শুক্রবারই এসএসকেএম থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেন তাঁরা। তার পর নিজেদের ১০ দফা দাবিকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তারেরা রাজ্য সরকারকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। হুঁশিয়ারির সুরে জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরকার দাবি না মানলে তাঁরা আমরণ অনশন শুরু করবেন।

শুক্রবার সন্ধ্যাতেই নিজেদের সঙ্গে একটি ঘড়ি নিয়ে এসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের কথায়, ‘‘আমরা এই ঘড়ি নিয়ে এসেছি। প্রতি মিনিট, ঘণ্টার হিসাব হবে। তাই এই ঘড়ি অবস্থান মঞ্চে থাকবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় যদি সরকার আমাদের দাবি না মানে, তবে আমরা জীবন বাজি রেখে আমরণ অনশন শুরু করব।’’ এই ঘোষণা যখন তাঁরা করছেন, তখন ওই ঘড়ির কাঁটায় সময় রাত ৮টা ৩০। সেই হিসাবে তাঁদের অবস্থানের ২২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। তাঁদের ঘোষণা মোতাবেক, পরবর্তী দেড় ঘণ্টার মধ্যে সরকার দাবি পূরণ না করলে আমরণ অনশনের পথে হাঁটবেন তাঁরা।

চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ১০ দাবি নিয়ে আগেও একাধিক বার সরব হয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় জুনিয়র ডাক্তারেরা বলেন, ‘‘আমরা ১০ দফা দাবি নিয়ে অবস্থানে বসছি।’’ সাংবাদিক বৈঠকে তাঁরা বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেছে ২৬ শতাংশ কাজ হয়েছে। কিন্তু ৬ শতাংশও কাজ হয়নি। ন্যায়বিচারের দাবিতে যে আন্দোলন চলছে তা ৫৮ দিনে পড়েছে। আরজি করের মতো আর একটাও ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই কারণেই আন্দোলন। নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের নির্দিষ্ট কিছু দাবি আছে। ’’

শুক্রবার মধ্যরাতে জুনিয়র ডাক্তারেরা অভিযোগ করেন, পুলিশের ‘বাধার’ কারণে ডেকোরেটর কর্মীরা মঞ্চ বাঁধার কাজ না-করে ফিরে গিয়েছেন। শেষমেশ নিজেরাই মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু করেন তাঁরা। বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে সেখানে লাগানো হয় ত্রিপলও।

একই সঙ্গে ধর্মতলা থেকে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেন তাঁরা। শুক্রবারই তাঁদের কয়েক জন জরুরি পরিষেবার কাজে যোগ দেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে গভীর রাতেও পরিষেবা দিতে দেখা যায় জুনিয়র ডাক্তারদের। অনেকে হাত লাগান গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচারেও। একই চিত্র ধরা পড়ে অন্য মেডিক্যাল কলেজগুলিতেও।

R G Kar Protest R G kar Incident Junior Doctor

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}