প্রতীকী চিত্র।
হোয়াটসঅ্যাপে ‘ছেলেধরা’ গুজবের জেরে পরপর গণপিটুনির ঘটনায় এবার নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র। ভুয়ো এবং প্ররোচনামূলক মেসেজ আটকাতে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকে কড়া বার্তা দিল তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। মন্ত্রকের ওই বার্তায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকে।
শুরু হয়েছিল ত্রিপুরা দিয়ে। হোয়াটসঅ্যাপে শিশু অপহরণের গুজব ছড়িয়ে পড়ায় সে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনা ছড়ায়। বেশ কয়েকটি গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। তারপর সেই গুজব দেশের অন্যান্য প্রান্তেও ছড়িয়ে পড়ে। গণপিটুনির জেরে অন্তত তিন জনের মৃত্যু হয়। সেই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন মহারাষ্ট্রের ধুলে। সেখানে রবিবারই ভিক্ষা করতে এসে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হন পাঁচ জন। একটি ঘরে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। পাঁচ জনেরই মৃত্যু হয়।
তারপরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র। ভুয়ো খবর ছড়ানো বা ফরওয়ার্ড করার প্রমাণ পেলে কড়া পদক্ষেপের বার্তা দেওয়া হয়। এবার হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকেও কড়া বার্তা দিল তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। তাতে বলা হয়েছে, এই ধরনের গুজব, ভুয়ো মেসেজ বা প্ররোচনামূলক কোনও অ্যাপে ছড়ালে সেই অ্যাপ কর্তৃপক্ষ তার দায় এড়াতে পারে না। নির্দিষ্ট কোনও সময়সীমা না দিলেও বলা হয়েছ, এই প্রবণতা বন্ধ করতে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ করা উচিত। পাশাপাশি এটা নিশ্চিত করা উচিত, যাতে এই মাধ্যম ব্যবহার করে কেউ এই ধরনের অনৈতিক কাজ না করতে পারেন।
আরও পড়ুন: ব্রিজ ভাঙতে দেখেই এমার্জেন্সি ব্রেক! মুম্বইয়ে চালকের তৎপরতায় বাঁচলেন ট্রেন যাত্রীরা
আরও পড়ুন: ‘স্তম্ভিত’ শীর্ষ আদালত, ভর্ৎসনা রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে
কেন্দ্রের এই বার্তার পর হোয়াটসঅ্যাপ তথা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে মার্ক জ়াকারবার্গের সংস্থার পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, কীভাবে ‘ফেক নিউজ’ চিহ্নিত করা যায়, তা ব্যবহারকারীদের শেখানোর কাজ চলছে। একইসঙ্গে অ্যাপেও প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপকে কিনে নেয় মার্ক জ়াকারবার্গের সংস্থা ফেসবুক। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা-কে তথ্য দেওয়া কাণ্ডে এখনও চাপে জ়াকারবার্গ। তার সঙ্গে এবার তাঁরই সংস্থার মেসেজিং অ্যাপের বিরুদ্ধেও ভারতের মতো দেশ কড়া বার্তা দেওয়ায় জ়াকারবার্গ আরও চাপে পড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।
ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন প্রায় ২০ কোটি মানুষ, যা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এই বিরাট বাজারে প্রভাব পড়লে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হবে সংস্থাকে। বিষয়টি মাথায় রেখেই ভারতের এই বার্তায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ করতে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy