গ্যারান্টি ছাড়াই আরও বেশি ঋণ পেতে পারেন শিক্ষার্থীরা। প্রতীকী ছবি।
বিনা ‘গ্যারান্টি’তে পাওয়া শিক্ষাঋণের ঊর্ধ্বসীমা বাড়াতে পারে কেন্দ্র। একটি সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এ ব্যাপারে বেশ তোড়জোড় করেই কাজে নামতে চলেছে দেশের অর্থ মন্ত্রক। এত দিন কোনও বন্ধক বা জমানত ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি থেকে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারতেন শিক্ষার্থীরা। এ বার কেন্দ্র সেই সীমা বাড়িয়ে অন্তত ১০ লক্ষ টাকা করার কথা ভাবছে।
এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই দেশের ১২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সঙ্গে অর্থ মন্ত্রকের কথা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি। তারা এ-ও জানিয়েছে যে, বিষয়টি নিয়ে খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গেও আলোচনায় বসতে পারে অর্থমন্ত্রক। শিক্ষা ঋণের ঊর্ধ্বসীমা অন্তত ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর ব্যাপারে সেই বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে অনুমান।
শিক্ষাঋণ দেওয়া নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছিল সম্প্রতি। বলা হয়েছিল, ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাঋণ দেওয়া নিয়ে এই ব্যাঙ্কগুলি নানা টালবাহানা করছে। বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে কিছু দিন আগেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে সতর্ক করেছিল কেন্দ্র। সেই সঙ্গে শিক্ষাঋণ দেওয়ার পরিমাণ বাড়ানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল তাদের। এর মধ্যেই বিনা বন্ধকীতে পাওয়া ঋণের অঙ্ক বৃদ্ধি নিয়েও জল্পনা প্রকাশ্যে এল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিক্ষাঋণ অনেক ক্ষেত্রেই ‘নন পারফরমিং অ্যাসেট’ হয়ে যায়। অর্থাৎ ঋণ নিয়ে তা ফেরত দিতে পারেন না গ্রাহক। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি হয়েছে সে কারণেই ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে গড়িমসি করতে শুরু করেছিল। কিন্তু সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা তথ্য জানার অধিকার আইনে জানতে পেরেছে, সরকারের তরফে ব্যাঙ্কগুলিকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই অর্থবর্ষে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকার শিক্ষাঋণ বিতরণ করতে হবে তাদের। আর সেই লক্ষ্যের কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত শিক্ষাক্ষেত্রে গ্যারান্টি-বিহীন ঋণের ঊর্ধ্বসীমা ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক।
উল্লেখ্য, বেশ কিছু রাজ্যে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের দেওয়া বাড়তি সুবিধার দৌলতে শিক্ষার্থীরা ১০ লক্ষ টাকা শিক্ষা ঋণ পান। এর মধ্যে বাংলার সরকার রয়েছে। আছে দিল্লিও। ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে বৈঠকে সেই বিষয়ে আলোচনাও করেছে কেন্দ্র। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্র ঊর্ধ্বসীমা বাড়ালে ওই রাজ্যগুলিতে হয় রাজ্য সরকারকে আর বাড়তি সুবিধা দিতে হবে না। নয়তো ওই রাজ্যগুলির শিক্ষার্থীরা রাজ্য সরকারের সুবিধাসমেত আরও বেশি শিক্ষাঋণ পেতে পারবেন।
আপাতত ব্যাঙ্কগুলির সামনে কেন্দ্রের তরফে ২০ হাজার কোটি টাকার শিক্ষাঋণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে একই সঙ্গে ওই সংবাদ সংস্থাটি জানতে পেরেছে, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে ওই ঋণদানের অভীষ্ট লক্ষ্যের ধারে কাছেও পৌঁছতে পারেনি ব্যাঙ্কগুলি। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের স্রেফ ১৯ শতাংশ পূরণ করতে পেরেছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy