ফাইল চিত্র।
সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন (আফস্পা) নিয়ে ক্রমেই চাপ বাড়ছে নরেন্দ্র মোদী সরকারের উপরে। এ দিকে জলে যাওয়ার জোগাড় নাগা শান্তি চুক্তিও।
এমনিতেই হিমঘরে পড়ে ছিল নাগা শান্তি চুক্তি। তবে আলোচনা জারি ছিল। কিন্তু শনিবার নাগাল্যান্ডে শ্রমিক-গ্রামবাসীদের মৃত্যুর পরে শান্তি চুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তো দূর, আলোচনা আর এগোবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে। অধিকাংশ নাগা দল শান্তি আলোচনায় যোগ দিলেও, কিছু ছোট দল এখনও জঙ্গি তৎপরতা জারি রেখেছে। মন্ত্রক-কর্তাদের আশঙ্কা, মন জেলার ঘটনায় উল্টে তাদের জঙ্গি তৎপরতা ও যুবকদের জঙ্গি দলে নাম লেখানোর প্রবণতা বাড়তে পারে। এবং এই পরিস্থিতিতে ভেস্তে যেতে পারে শান্তি চুক্তি। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির জন্য গঠিত ডোনার মন্ত্রকের মন্ত্রী জি কিষেণ রেড্ডি অবশ্য আজও বলেছেন, “শান্তি চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে কেন্দ্র দায়বদ্ধ। বন্দুকের মাধ্যমে শান্তি ফেরে না, তা প্রমাণিত। আমাদের তাই আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। আলোচনা ও উন্নয়নের পথ ধরেই শান্তি আসবে উত্তর-পূর্বে।”
নাগা জঙ্গি সংগঠন এনএসসিএন (আইএম) গোষ্ঠীর সঙ্গে কেন্দ্রের খসড়া শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ২০১৫-র অগস্টে। ছ’বছরেও হয়নি চৃড়ান্ত চুক্তি। বরং এনএসসিএন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান, ধরপাকড়, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সম্পর্ক তিক্ত হচ্ছিল দু’পক্ষের। মন জেলার ঘটনায় তারা পৃথক পতাকা ও সংবিধানের দাবিতে আরও অনড় হয়ে উঠবে আশঙ্কা নয়াদিল্লির।
এ দিকে উত্তর-পূর্বের একাধিক রাজ্য থেকে আফস্পা প্রত্যাহারের দাবি ওঠায় নতুন করে প্যাঁচে পড়েছে মোদী সরকার। নাগাল্যান্ড তো বটেই, পড়শি মেঘালয় ও মিজোরামের মতো রাজ্যে শরিক হিসাবে সরকারে রয়েছে বিজেপি। সে সব রাজ্যও আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে সরব হয়েছে। আজ সংসদে আফস্পা প্রত্যাহারের প্রশ্নে সরব হন এনডিএ-র শরিক এনপিপির সাংসদ আগাথা সাংমা। এতে অস্বস্তির মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রকে। আগাথা বলেন, ‘‘নাগাল্যান্ডের ঘটনা ব্যতিক্রম নয়। আফস্পাকে হাতিয়ার করে ২০০০ সালে মণিপুরে দশ জনকে বিনা কারণে হত্যা করা হয়েছিল। যার প্রতিবাদে পরবর্তী ১৬ বছর অনশন করেন শর্মিলা চানু। অবিলম্বে আফস্পার মতো কালো আইন প্রত্যাহার করা হোক।”
কংগ্রেসের শশী তারুর বলেন, ‘‘জনগণের কাছে বার্তা যাচ্ছে যে, আফস্পাকে ঢাল করে অভিযুক্ত সেনা-জওয়ানদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অবিলম্বে সাংসদদের প্রশ্নগুলির জবাব সংসদে দেওয়া উচিত সরকারের।’’
মন জেলার ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও আফস্পা প্রশ্নে সরকারের অবস্থান জানতে আগামিকাল বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। আফস্পা প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে কিছু মন্তব্য করতে চাননি মন্ত্রী জি কিষেণ রেড্ডি। তিনি কেবল বলেন, ‘‘আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy