সংসদে মহুয়া মৈত্র। ছবি: পিটিআই।
সরকার দেশবাসীকে প্রতারণা করছে বলে সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। আজ লোকসভায় মধ্যাহ্নভোজনের পরে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার ধন্যবাদজ্ঞাপন বিতর্ক শুরু হয়। তৃণমূলের হয়ে তাতে বলার কথা ছিল সৌগত রায় ও মহুয়া মৈত্রের। আগামিকাল নদিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক কার্যক্রমে যোগদানের জন্য আজকেই বলার জন্য দলের অনুমতি চেয়ে নিয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া। জিতে আসা সত্ত্বেও মোদী সরকার দেশবাসীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে বলে দাবি করলেন তিনি। তাঁর কথায়, দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত। সিএএ-এনআরসি আতঙ্কে দেশছাড়া হওয়ার ভয়ে ভুগছেন বহু মানুষ।
আজ শাসক শিবিরের প্রথম বক্তা বিজেপির সাংসদ প্রবেশ বর্মা জানিয়ে দেন, বিরোধিতা হলেও সিএএ প্রত্যাহার করা হবে না। সরকার ওই আইন প্রয়োগ করবেই। মোদী সরকারের এই অনড় মনোভাব নিয়েই প্রশ্ন তোলেন মহুয়া। তিনি বলেন, ‘‘একজন বিরোধী হিসেবে আমার বলার অধিকার আছে যে, এই সরকার নমনীয়তা হারিয়েছে।’’
আজ নাগরিকত্ব বিতর্ক প্রসঙ্গে নাৎসি কনসেন্ট্রেশন শিবিরের উদাহরণ টেনে আনেন মহুয়া। তাঁর কথায়, ‘‘এনআরসি, সিএএ-র মাধ্যমে প্রথমে চিহ্নিতকরণ করা হবে। তার পর তাদের অধিকার কেড়ে নিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে।’’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সরকারের একের পর এক সিদ্ধান্তে চাকরির বাজার ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে। ফি দিন কাজ হারাচ্ছেন বহু মানুষ। যা দেশের যুব সমাজের সঙ্গে কার্যত প্রতারণা বলেই ব্যাখ্যা করেছেন মহুয়া। বিশেষ করে যাঁরা মোদীকে বিশ্বাস করে ভোট দিয়েছিল তারাও এখন প্রতারণার শিকার হচ্ছে বলে দাবি তাঁর। মহুয়ার কথায়, ‘‘যাঁরা প্রথম বার চাকরি খুঁজছে, আপনি তাদের ঠকাচ্ছেন। নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে প্রতারণা করা হয়েছে ছোট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে।’’ মহুয়ার দাবি, দেশের পরিস্থিতি এখন এমন হয়েছে যাঁরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল এখন তাঁরাও সেই সমর্থন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মহুয়া বলেন, ‘‘আমার বন্ধুরা যাঁরা ২০১৪ সালে আপনাকে ভোট দিয়েছিল, তাঁরা এখন নাকের ডগায় যা হচ্ছে তা দেখে আতঙ্কিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy