জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্বে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) ওপারে চিনা পরিকাঠামো ভারতের দীর্ঘদিনের উদ্বেগের কারণ। এক সময় সম্ভাব্য চিনা হামলা ঠেকাতে ওই অঞ্চলের পরিকাঠামো উন্নয়নে ইচ্ছে করেই সক্রিয় হয়নি নয়াদিল্লি। কৌশল ছিল, অঞ্চলটি দুর্গম রেখে দেওয়া হলে সম্ভাব্য হামলার সময় চিনা ফৌজের অগ্রগতি শ্লথ হয়ে পড়বে।
গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেট প্রস্তাব পাশ হল লোকসভায়। সোমবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পেশ করা বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের বাজেট বরাদ্দ এক লক্ষ ১২ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে বিভিন্ন উন্নয়নখাতে ব্যয় হবে ৪১ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা।
নির্মলার দেওয়া তথ্য বলছে, বাজেট বরাদ্দের ৩২ হাজার ৪৯৫ কোটি (২৯ শতাংশ) খরচ হবে সরকারি কর্মীদের বেতন দিতে। পেনশন বাবদ খরচ ৯,৭৮০ কোটি (৯ শতাংশ)। অন্য দিকে, ঋণের সুদ বাবদ দিতে হবে ৭,৪২৭ কোটি (৬ শতাংশ)। চলতি অর্থবর্ষে বিদ্যুৎ কেনার জন্য জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের সম্ভাব্য ব্যয় ৫,০০০ কোটি।
জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্বে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (এলএসি) ওপারে চিনা পরিকাঠামো ভারতের দীর্ঘদিনের উদ্বেগের কারণ। এক সময় সম্ভাব্য চিনা হামলা ঠেকাতে ওই অঞ্চলের পরিকাঠামো উন্নয়নে ইচ্ছে করেই সক্রিয় হয়নি নয়াদিল্লি। কৌশল ছিল, অঞ্চলটি দুর্গম রেখে দেওয়া হলে সম্ভাব্য হামলার সময় চিনা ফৌজের অগ্রগতি শ্লথ হয়ে পড়বে। সময় মিলবে প্রতিরোধের প্রস্তুতির। কিন্তু দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমল থেকে অবিভক্ত জম্মু ও কাশ্মীরের (লাদাখ-সহ) এলএসি লাগোয়া এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নে নজর দেওয়া হয়।
পশ্চিমে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) লাগোয়া কিছু অংশে পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়টি বহু দিন ধরেই নয়াদিল্লির মাথাব্যথার বিষয়। বিশেষত এলওসি লাগোয়া গ্রামগুলিতে পাক সেনার গুলি ও মর্টার হামলার জেরে ক্ষয়ক্ষতি লেগেই থাকে। ব্যাহত হয় উন্নয়নের কাজ। প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্ত জনপদগুলির পরিকাঠামো পুনর্নির্মাণে বড় অঙ্কের খরচ করতে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy