সমস্যা বাড়ল কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাওয়ের। এ বার রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের (ডিআরআই) সঙ্গেই সোনা পাচার মামলার তদন্ত করবে সিবিআই! ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের একটি দল বেঙ্গালুরুতে পৌঁছেছে। সংবাদমাধ্যম ‘নিউজ়-১৮’ সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিআরআই-এর থেকে সমস্ত তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে। তার পরই তদন্ত জোরদার করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। জাতীয় পর্যায়ে সোনা চোরাচালানের কোনও চক্র সক্রিয় রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখবেন গোয়েন্দারা।
গত ৩ মার্চ বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১২ কোটি টাকার সোনা-সহ গ্রেফতার হয়েছেন রান্যা। অভিনেত্রীর গ্রেফতারির পর থেকেই নানা প্রশ্ন ঘুরছে। তদন্তকারীদের অনুমান, এই সোনা পাচারচক্রে রান্যা একা জড়িত নন, নেপথ্যে রয়েছে বড় ‘গ্যাং’! কিন্তু কী ভাবে ওই চক্রের সঙ্গে রান্যার যোগাযোগ, তাদের জাল কোথায় কোথায় বিস্তৃত, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
রান্যাকে গ্রেফতার করা হলেও তদন্তকারীদের আতশকাচের নীচে রয়েছেন তাঁর স্বামী যতীন হুক্কেরি! তাঁর বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, অভিনেত্রীর দুবাইযাত্রায় সঙ্গী ছিলেন তাঁর স্বামী। শুধু দুবাই নয়, রান্যার পাসপোর্ট খতিয়ে দেখে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন অন্তত ৪৫টি দেশে ভ্রমণ করেছেন তিনি। সূত্রের খবর, জেরায় অভিনেত্রী তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, দুবাই ছাড়াও ইউরোপ, আমেরিকা এবং পশ্চিম এশিয়ার বহু দেশে তিনি যাতায়াত করেছেন। কেন ঘন ঘন এত বিদেশযাত্রা, তা-ও তদন্ত করে দেখছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন:
যদিও রান্যা দাবি করছেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তদন্তকারীদের কাছে দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। তদন্তকারীদের এই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে যে, অভিনেত্রী কি সত্যিই অজান্তে এই পাচারচক্রের ফাঁদে পড়েছেন, না কি তিনি সরাসরি এই চক্রের সঙ্গেই জড়িত? রান্যার বাবা এক জন আইপিএস অফিসার। তদন্তকারীদের অনুমান, সেই পরিচয় দেখিয়েই বিভিন্ন বিমানবন্দরের নিরাপত্তাবলয় ফাঁকি দিতেন।