Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Road Trip

মায়ের সঙ্গে দেখা করতে ১৬টি দেশ পার করে ১৮৩০০ কিমি গাড়ি চালিয়ে গেলেন তরুণ

বীরজিৎ খাতায়কলমে হিসাব করে দেখলেন, লন্ডন থেকে ঠাণে ১৮,৩০০ কিলোমিটারের পথ। সেই মতো অফিস থেকে দু’মাসের ছুটি নিয়ে ফেললেন তিনি। তার পর যাত্রা শুরু।

বীরজিৎ মুঙ্গালে। নামেও বীর। স্বভাবেও বীর তিনি।

বীরজিৎ মুঙ্গালে। নামেও বীর। স্বভাবেও বীর তিনি। —ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২৪ ১০:৪৯
Share: Save:

ভালবাসার মানুষের জন্য নাকি সাত সমুদ্র তেরো নদী পারও করা যায়। রূপকথার পাতায় এমন চিত্রই কমবেশি ফুটে ওঠে। কিন্তু এই রূপকথা যে সত্যি হয়, তা প্রমাণ করলেন এক তরুণ। ভারতীয় হলেও তিনি থাকেন লন্ডনে। নাম বীরজিৎ মুঙ্গালে। নামেও বীর। তার পাশাপাশি স্বভাবেও বীর তিনি। ১৬টি দেশ পার করে, চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আসার সাহস রয়েছে তাঁর। কারণ, ১৬টি দেশ পার করলেই মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন বীরজিৎ। করলেনও তাই।

মায়ের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি বিখ্যাত সিল্ক রুটে গাড়ি চালানোর ইচ্ছাও ছিল বীরজিতের। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। বীরজিতের মা থাকেন মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে। বীরজিৎ খাতায়কলমে হিসাব করে দেখলেন, লন্ডন থেকে ঠাণে ১৮,৩০০ কিলোমিটারের পথ। সেই মতো অফিস থেকে দু’মাসের ছুটি নিয়ে ফেললেন তিনি। তার পর যাত্রা শুরু। এই যাত্রায় বীরজিতের সঙ্গী হয়েছিলেন তাঁর বন্ধু রোশন শ্রেষ্ঠ। তবে বীরজিতের সঙ্গে লন্ডন থেকে নেপাল পর্যন্ত যান রোশন। বাকি পথ একাই গাড়ি চালিয়ে আসেন বীরজিৎ। পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম, পোল্যান্ড, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, রাশিয়া, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান, চিন, তিব্বত, নেপাল, ভারত-সহ মোট ১৬টি দেশ অতিক্রম করেছেন তিনি।

বীরজিৎ বলেন, ‘‘এসইউভি নিয়ে লন্ডন থেকে যাত্রা শুরু করেছিলাম। সব রকম অনুমতি আগে থেকেই নেওয়া ছিল। নিরাপত্তার জন্য রাতে গাড়ি চালাতাম না। চেষ্টা করতাম, প্রতি দিন ৪০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার গাড়ি চালানোর। কোনও কোনও দিন পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১০০০ কিলোমিটার পথও গাড়ি চালিয়েছি।’’ তবে এই যাত্রা খুব একটা সহজ ছিল না বলে জানান বীরজিৎ। তিনি বলেন, ‘‘যাত্রাটি কঠিন ছিল। বরফ, ঠান্ডা, কোথাও কোথাও আবহাওয়া ভীষণ খারাপ পেয়েছি।’’ বীরজিৎ যখন ৫২০০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছেছিলেন, তখন ‘অলটিটিউড সিকনেস’-এ (উচ্চতায় উঠলেই মাথা ঘোরা, মাথায় যন্ত্রণা, বমিভাব বা শ্বাসকষ্টে নাজেহাল হয়ে পড়েন অনেকে। এই সমস্যার নাম হাই অলটিটিউড সিকনেস বা মাউন্টেন সিকনেস।) ভুগেছিলেন তিনি। তবে কঠিন যাত্রা, দুর্গম পথ পেরিয়ে এলেও এই অভিজ্ঞতা কোনও দিনও ভোলার নয় বলে জানিয়েছেন বীরজিৎ। এতটা পথ গাড়ি চালিয়ে মায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। কিন্তু আবার গা়ড়ি চালিয়ে ফিরতে চান না। বীরজিৎ জানিয়েছেন, যে এসইউভি চালিয়ে তিনি এসেছেন, তা জাহাজের মাধ্যমে ব্রিটেনে পাঠিয়ে দেবেন এবং তিনি আকাশপথে ফিরে যাবেন লন্ডনে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

London Thane Trip
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE