বাসিন্দাদের অনুমান, ট্যাঙ্কের ভিতর উঁকি মারতে গিয়ে বালিতে পা পিছলে ভিতরে পড়ে যায় আহাদ। প্রতীকী ছবি।
বিকেলের দিকে দুই দাদার সঙ্গে বা়ড়ির বাইরে খেলতে বেরিয়েছিল ৪ বছর বয়সি এক বালক। কিন্তু খেলার পর বাড়িতে আর ফেরা হল না তার। জলের ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সোমবার বিকেলে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলায় লোনি শহরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত বালকের নাম আহাদ।
সোমবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ন’বছর বয়সি আরশাদ এবং ৬ বছর বয়সি সাহিলের সঙ্গে বাইরে খেলতে গিয়েছিল আহাদ। আরশাদ এবং সাহিল দু’জনেই সম্পর্কে আহাদের দাদা। বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা নেমে এলে আরশাদ এবং সাহিল দু’জনে তাদের ভাইকে ছাড়াই ঘরে ফেরে। ছোট পুত্রকে না দেখতে পেয়ে তার খোঁজখবর নিতে শুরু করেন তাদের মা। বাড়ির আশপাশে খুঁজে না পেয়ে আহাদের বাবা আশুকে খবর পাঠান তিনি। আশু পেশায় শ্রমিক।
কনিষ্ঠ পুত্র নিখোঁজ হওয়ার খবর শুনে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসেন আশু। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে আহাদকে খুঁজতে বেরিয়েছিলেন তিনি। তাঁদের বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে একটি বাড়ি তৈরি করা হচ্ছিল। বাসিন্দারা সেখানে গিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করায় জলের ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে আহাদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। আশু জানান, ৫ ফুট গভীর ওই ট্যাঙ্কটি অপরিষ্কার জলে ভর্তি ছিল। তার মধ্যে ভেসে বেড়াচ্ছিল কাঠের বড় টুকরোও। ট্যাঙ্কের চারদিকে বালি এবং সিমেন্ট রাখা ছিল।
বাসিন্দাদের অনুমান, ট্যাঙ্কের ভিতর উঁকি মারতে গিয়ে বালিতে পা পিছলে ভিতরে পড়ে যায় আহাদ। গভীর ট্যাঙ্কটি জলভর্তি থাকায় আর সেখান থেকে উঠতে পারেনি সে। জলে ডুবেই মারা যায় আহাদ। পরে তার দেহ জলে ভেসে ওঠে। আশু জানান যে, খেলতে যাওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর তাঁর দুই পুত্র বাড়ি ফিরেছিল। তারা বাড়ি ফিরে জানায় যে, আহাদকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
পুলিশ সূত্রে খবর, আহাদের পরিবারের তরফে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। এমনকি, ময়নাতদন্ত করতেও বাধা দিয়েছেন পরিবারের সদস্যেরা। থানায় অভিযোগ দায়ের করা না হলে তারা কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy