—প্রতীকী চিত্র।
নাবালক পুত্রকে হোম থেকে দত্তক নিয়েছিলেন দম্পতি। তাঁদের নিজস্ব এক কন্যা ছিল। তার পরে ওই পুত্রকে দত্তক নেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুত্রের হাবভাব, আচরণে বিরক্ত হয়ে উঠলেন তাঁরা। আবার তাকে হোমে ফিরিয়ে দিতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
দত্তক বাতিল করতে চাওয়া দম্পতির আবেদনে সাড়া দিয়েছে বম্বে হাই কোর্ট। বিচারপতি আর আই ছাগলার বেঞ্চ জানিয়েছে, দত্তক পুত্রকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন দম্পতি। সেই সঙ্গে ওই নাবালকের নামে যে টাকা দম্পতি হোমে জমা দিয়েছিলেন, তা-ও তারা ফেরত পেয়ে যাবেন। দু’লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তাঁরা।
২০২৩ সালের ১৭ অগস্ট নাবালককে দত্তক নেওয়া হয়েছিল। দম্পতি জানিয়েছেন, অনেক চেষ্টা করেও এই ক’দিনে দত্তক পুত্রের সঙ্গে তাঁদের মনের মিল হয়নি। তাঁরা নাবালককে সামলাতেই পারছেন না। কারণ সে দুরন্ত। তার আচরণ দম্পতির নাগালের বাইরে।
আদালত দত্তক বাতিল করে সেন্ট্রাল অ্যাডপশন রিসোর্স অথরিটিকে নির্দেশ দিয়েছে, ওই নাবালকের নাম আবার দত্তক গ্রহণের তালিকায় নথিভুক্ত করতে হবে।
দত্তক বাতিল করতে চেয়ে প্রথমে ‘বাল আশা ট্রাস্ট’-এর দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই দম্পতি। সেখান থেকে তাঁদের কাউন্সেলিংয়ের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। দু’বার কাউন্সেলিংও করান দম্পতি। সেখান থেকে জানানো হয়, নাবালকটির সঙ্গে মানসিক ভাবে দম্পতির কোনও বন্ধন গড়ে ওঠেনি। তবে ওই নাবালক তাঁদের পছন্দ করে এবং তাঁদের কাছে থাকতে চায়। দিদি হিসাবে দম্পতির কন্যার সঙ্গেও ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল ওই নাবালকের। সব দিক বিবেচনা করেই দত্তক বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে বম্বে হাই কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy