ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএমএস। ছবি সংগৃহীত।
দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ ও কর্পোরেটকরণের প্রতিবাদে এবং ঠিকা কর্মীদের পাকা চাকরির দাবিতে পথে নামার সিদ্ধান্ত নিল সঙ্ঘ- ঘনিষ্ঠ শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ (বিএমএস)। নরেন্দ্র মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ১৭ নভেম্বর দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএমএস। ওই দিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএমএস সদস্যরা রাজধানীতে দাঁড়িয়ে সরকারের নীতির বিরুদ্ধে সরব হবেন। সূত্রের মতে, গত কয়েক বছরে যে ভাবে দেশে বেসরকারিকরণ ও কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়েছে, তাতে বিএমএসের জনভিত্তি টাল খেয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, শাসক দল ঘনিষ্ঠ হয়েও কেন শ্রমিক স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ বিএমএস। সংগঠনকে ধরে রাখতে পথে নামার সিদ্ধান্ত নেন বিএমএস কর্তৃপক্ষ।
গত আট বছরে সরকারি সম্পত্তি বিক্রি, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে সরকারি কোষাগার ভরার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব বিরোধীরা। আজ কার্যত বিরোধীদের সুরেই বিএমএস-এর জাতীয় সচিব গিরীশ চন্দ্র আর্য বলেন, ‘‘রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি দেশের সম্পদ। তাই বিক্রি না করে সরকারের উচিত সেগুলিতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে সময়োপযোগী করে তোলা।’’ কিন্তু তা না করে সেগুলি বেচে দিয়ে দায় এড়ানোর কৌশল ভাল ভাবে নিচ্ছেন না বিএমএস কর্তারা। আর্য বলেন, ‘‘সরকার বিশেষ কারও হয় না। সরকার দেশের।’’ এই সরকার যদি শ্রমিক বিরোধী পদক্ষেপ চালিয়ে যায়, তা হলে আগামী দিনে সরকারকে সমর্থন করা হবে কি না তা নিয়ে সংগঠন ভেবে দেখবে বলে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেন আর্য। প্রশ্ন ওঠে, সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ শ্রমিক সংগঠন হয়েও শ্রমিক স্বার্থ বজায় রাখা, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ রুখতে না পারা কি সংগঠনের ব্যর্থতা নয়? আর্যের যুক্তি, ‘‘সরকার আরও অনেক কিছু বেসরকারিকরণের চেষ্টায় ছিল। আমাদের সংগঠনের সক্রিয়তার কারণেই যে টুকু যা রোখা গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy