মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। ফাইল চিত্র।
শিবসেনা বিধায়ক রমেশ লটকের আকস্মিক প্রয়াণে উপনির্বাচন হচ্ছে মহারাষ্ট্রের আন্ধেরি (পূর্ব) বিধানসভায়। শিবসেনার উদ্ধবপন্থী শিবির প্রার্থী করেছে রমেশের স্ত্রী রুতুজা লটকেকে। সোমবার প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। ওই আসনে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছিলেন মুরজি পটেল। সোমবার এই উপনির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র পেশের শেষ দিনই এই ঘোষণা করল পদ্মশিবির। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রুতুজার জয় কেবল সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রমেশের স্ত্রীকে জয়ী করার জন্য সব দলের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরেরা। সবাইকে অবাক করে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ দলের নেতা তথা উদ্ধবের ভাই রাজ ঠাকরে সে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসকে চিঠি লিখে বিজেপির তরফে উপনির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। সে সময় ফডণবীস জানিয়েছিলেন দলের শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেই তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারবেন।
চিঠিতে রাজ ফডনবীসকে ‘প্রিয় বন্ধু’ সম্বোধন করে লেখেন, প্রয়াত রমেশ লটকের স্ত্রী উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আমি জানি সাধারণ একজন কর্মী থেকে রমেশ কী ভাবে বিধায়ক হয়েছিলেন। রমেশের স্ত্রীকে বিধায়ক নির্বাচিত হতে দিয়ে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো উচিত বলে মনে করি। এর মাধ্যমে মহারাষ্ট্রের সৌহাদ্যপূর্ণ সংস্কৃতি সম্পর্কেও একটা বার্তা দেওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
তবে শুধু রাজই নন, শিবসেনার শিন্ডে-শিবিরের এক বিধায়কও মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে চিঠি লিখে একই অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তারও আগে এনসিপি-প্রধান শরদ পওয়ার বিজেপিকে প্রার্থী না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “বিধায়ক হিসেবে যিনিই নির্বাচিত হোন না কেন, তাঁর কার্যকালের মেয়াদ হবে মাত্র দেড় বছরের। তাই প্রয়াত রমেশ লটকের প্রতি সম্মান জানিয়েই উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা উচিত বিজেপির।”
স্বভাবিক ভাবেই বিজেপির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে উদ্ধবপন্থী শিবসেনার নেতারা। রমেশের স্ত্রী রুতুজা বৃহন্মুম্বই পুরসভার কর্মী। রুতুজা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে আটকাতে পরিকল্পনামাফিক তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হচ্ছে না। এর আগে উদ্ধব শিবির থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল, বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার চালানো একনাথ শিন্ডে প্রভাব খাটিয়ে রুতুজার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে বাধা দিচ্ছেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy