প্রণাম: মৃত্যুবার্ষিকীতে জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধা অমিত শাহের। রবিবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।
অমিত শাহ ২০ শতাংশ বৃদ্ধির লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছিলেন। দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযানে সেই লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যেতে চাইছে বিজেপি। মোদী সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদের একাংশকে দলে টানতে পারলেই সেটা সম্ভব হবে বলে মনে করছে তারা।
লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে, আজ ঠিক এক মাস হল। বিজেপির দাবি অনুযায়ী, দলের সদস্য এখন ১১ কোটি। ঠিক হয়েছিল, এ বছর আরও প্রায় ২ কোটি ২০ লক্ষ সদস্য সংগ্রহ করা হবে। বিজেপির হিসেব অনুযায়ী, দেশের ২২ কোটি পরিবার মোদী সরকারের প্রকল্পের সুফল পেয়েছে। তাদের একটি অংশও যদি দলে আসে, ২০ শতাংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পার করা যাবে।
বিজেপির এও হিসেব, গত লোকসভা ভোটে ভোট দিয়েছেন ৬০ কোটি দেশবাসী। তার মধ্যে সাড়ে ২২ কোটি ভোট পেয়েছে দল। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, এর মধ্যে একটা অংশ মোদীর প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। এ বার তাঁদের একাংশকে দলে টানা গেলে অনায়াসে ২ কোটি ২০ লক্ষের লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে যাওয়া যাবে। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘এই ভোটে মোদী সরকারের প্রকল্পের দৌলতে জাত-পাতের সমীকরণ অনেকটাই মুছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আগামী পাঁচ বছরে এ ধরনের প্রকল্পেই আরও জোর দেবেন প্রধানমন্ত্রী।’’ রাজনৈতিক দলগুলি বরাবরই তাদের প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্তদের কাছে ভোট ভিক্ষা করে। এর আগে বিভিন্ন রাজ্যে এই সব সুবিধাপ্রাপ্তদের বাড়িতে জাতীয় পতাকা টাঙানোর নিদানও দিয়েছিলেন একাধিক বিজেপি নেতা। এ বারে এক ধাপ এগিয়ে তাঁদের সরাসরি দলের সদস্য করতে ঝাঁপাচ্ছে দল।
বিরোধীদের অবশ্য অভিযোগ, উজ্জ্বলা গ্যাস প্রকল্পের বিজ্ঞাপনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যে মহিলার ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল, পরে জানা যায়, তিনি ফের উনুনেই ফিরে গিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছিল শৌচাগারের পরিসংখ্যান নিয়েও। যদিও এ সবে আপাতত গুরুত্ব দিচ্ছে না বিজেপি। উত্তরপ্রদেশে দলের এক নেতা বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যে প্রায় ২ কোটি সদস্য রয়েছেন। দল ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৩০ লক্ষ পরিবারকে চিহ্নিত করেছে, যারা মোদী সরকারের প্রকল্পের কোনও না কোনও সুফল পেয়েছে। নতুন সদস্য অভিযানে তাদের বাড়ি গিয়ে দলে যোগ দেওয়ার আবেদন জানানো হবে।’’
শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন ৬ জুলাই থেকে শুরু হবে সদস্য সংগ্রহ অভিযান। এ বারেও ‘মিস্ড কল’ দিয়ে সদস্য হওয়া যাবে। যদিও গত বার ‘মিস্ড কল’ দেওয়ার পর অনেকে সদস্য হননি। সে কারণে এ বারে আগে থেকে কর্মীদের মোতায়েন রাখা হবে। ফোন এলেই তাঁরা পৌঁছে যাবেন বাড়িতে। শিবরাজ সিংহ চৌহানকে বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন কার্যকরী সভাপতি জে পি নড্ডার রাজ্যে রাজ্যে অভিযানের কর্মসূচি তৈরি হচ্ছে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy