—ফাইল চিত্র।
পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের পর পাঁচ দিন কেটে গিয়েছে। তার পরেও মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ় এবং রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী কারা হবেন, তা ঘোষণা করতে পারল না বিজেপি। তেলঙ্গানায় মুখ্যমন্ত্রী পদে বৃহস্পতিবারই শপথ নিয়েছেন কংগ্রেসের রেবন্ত রেড্ডি। শুক্রবার মিজ়োরামেও শপথ নিলেন জ়োরাম পিপলস্ মুভমেন্ট (জ়েডপিএম) নেতা লালডুহোমা। কিন্তু তিন রাজ্যে বিরাট জয়ের পরেও কেন মুখ্যমন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করতে পারছে না বিজেপি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগ়ঢ় এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী কারা হবেন, তা বাছতে পর্যবেক্ষক দল নিয়োগ করলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
বিজেপি সূত্রে খবর, কোন রাজ্যে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা ঠিক করে দলের সংসদীয় বোর্ড। সেই বোর্ডে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু সদ্য ভোটে জেতা তিন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে এত সংখ্যক দাবিদার রয়েছেন যে, সংসদীয় বোর্ড এখনও সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে তারা ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়ে চলতে চাইছে। তিন রাজ্যের বাস্তব পরিস্থিতি আরও ভাল ভাবে খতিয়ে দেখতেই পর্যবেক্ষক দলের ঘোষণা করা হয়। বিজেপি জানিয়েছে, রাজস্থানের পর্যবেক্ষক দলে রয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, বিনোদ তাওয়ারে এবং সরোজ পাণ্ডে। মধ্যপ্রদেশের পর্যবেক্ষক দলে রয়েছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর, কে লক্ষ্মণ এবং আশা লাকরা। আশা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক পদেও রয়েছেন। ছত্তীসগঢ়ে যে দলটি যাবে, সেই দলে রয়েছেন অর্জুন মুণ্ডা, সর্বানন্দ সোনোয়াল, দুষ্মন্ত গৌতম।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে এই দলগুলি। দলের সদস্যেরা কথা বলবেন বিধায়কদের সঙ্গেও। তার পর রিপোর্ট দেওয়া হবে সংসদীয় বোর্ডকে। আর তার ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রীদের নাম ঘোষণা হবে। এর জন্য আরও দু’-তিন দিন সময় লাগতে পারে বলেই বিজেপি সূত্রে দাবি।
বৃহস্পতিবারই সন্ধ্যায় বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডার দিল্লির বাসভবনে যান বসুন্ধরা রাজে। সঙ্গে ছিলেন পুত্র দুষ্মন্তও। বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, মরুরাজ্যে দল নতুন কাউকে চাইছে। কিন্তু দু’বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া বসুন্ধরা এ বারও কুর্সির দাবি ছাড়তে নারাজ। সমস্যা হল, বসুন্ধরা তাঁর অনুগামী জনা কুড়ি বিধায়ককে নিয়ে যদি বিদ্রোহ করে বসেন, তা হলে রাজস্থানে সরকার ধরে রাখা মুশকিল হয়ে পড়বে। এই বিষয়টিও এড়িয়ে যেতে পারছেন না কেন্দ্রীয় নেতারা। এই পরিস্থিতিতে দুষ্মন্তকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়ার মতো মধ্যপন্থার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই দলীয় সূত্রে দাবি।
দলের আরও একটি সূত্রের দাবি, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ে সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রীদের একটি তালিকা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। বস্তুত, ওই দুই রাজ্যে জয়ের পরেই ভাবী মুখ্যমন্ত্রীদের নাম ঠিক করে ফেলেছিল দল। সম্ভবত নতুন মুখেরাই মধ্যপ্রদেশ-ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী হবেন। বিধানসভা ভোটে জয়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সাংসদদের দল ইস্তফা দিতে বলায় তা নিয়ে আলোচনা আরও জোরালো হয়েছে। কিন্তু রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী চূড়ান্ত না হওয়ায় কারও নামই ঘোষণা করা যাচ্ছে না। ওই সূত্রেরই দাবি, এমন পরিস্থিতিতে অহেতুক তাড়াহুড়ো না করে সব দিক বিচার করেই মুখ্যমন্ত্রীদের বাছতে চাইছে দল। যাতে লোকসভা ভোটের আগে দলে কোনও অসন্তোষ না থাকে। বিধানসভা ভোটে দল যে দাপট দেখিয়েছে, তা যাতে আসন্ন লোকসভাতেও থাকে, সেটা নিশ্চিত করাই এখন মূল মন্ত্র। বিজেপির এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘‘সামাজিক, আঞ্চলিক, প্রশাসনিক এবং সাংগঠনিক— এই সমস্ত বিষয় নজরে রেখেই মুখ্যমন্ত্রী বাছতে চাইছে দল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy