Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
National News

জীবন দুর্বিষহ করে দেব, আমলাকে হুমকি বিজেপি সাংসদের

উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদ ডিভিশনের চৈলা গ্রামে সরকারি জমিতে দখলদার উচ্ছেদ অভিযানে গিয়েছিলেন মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট অজয় দ্বিবেদী। স্থানীয় বিজেপি নেতা অলোক সিংহের বিরুদ্ধে গ্রামেরই একটি সরকারি স্কুল ও পুকুর দখলের অভিযোগ ছিল।

সরকারি আমলা অজয় দ্বিবেদীকে হুমকি দিয়ে বিতর্কের মুখে বারাবাঁকি কেন্দ্রের সাংসদ প্রিয়ঙ্কা সিংহ রাওয়ত। ছবি: সংগৃহীত।

সরকারি আমলা অজয় দ্বিবেদীকে হুমকি দিয়ে বিতর্কের মুখে বারাবাঁকি কেন্দ্রের সাংসদ প্রিয়ঙ্কা সিংহ রাওয়ত। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
বারাবাঁকি (উত্তরপ্রদেশ) শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ২০:১৫
Share: Save:

দখলদার উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে বিজেপি সাংসদের হুমকির মুখে পড়লেন এক সরকারি আমলা। মোবাইল ক্যামেরার সামনেই ওই আমলাকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন বারাবাঁকি কেন্দ্রের সাংসদ প্রিয়ঙ্কা সিংহ রাওয়ত। মঙ্গলবারের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে পড়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।

ঠিক কী করেছেন বিজেপি সাংসদ?

উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদ ডিভিশনের চৈলা গ্রামে সরকারি জমিতে দখলদার উচ্ছেদ অভিযানে গিয়েছিলেন মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট অজয় দ্বিবেদী। স্থানীয় বিজেপি নেতা অলোক সিংহের বিরুদ্ধে গ্রামেরই একটি সরকারি স্কুল ও পুকুর দখলের অভিযোগ ছিল। সরকারি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ নিয়ে তা-ই দখলমুক্ত করতে গিয়েছিলেন অজয় দ্বিবেদী। ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করতেই সেখানে জমায়েত হন স্থানীয় লোকজন। তাঁদের সঙ্গে তর্কাতর্কিও শুরু হয়ে যায়। খবর পেয়ে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ছুটে আসেন বারাবাঁকি কেন্দ্রের সাংসদ প্রিয়ঙ্কা সিংহ রাওয়তও। অভিযান বন্ধ করতে বলে প্রকাশ্যেই অজয়কে হুমকি দিতে থাকেন তিনি। মোবাইল ক্যামেরার সামনেই স্থানীয়দের উদ্দেশে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন তিনি। সাংসদ বলেন, “আপনারা একটা কথা পরিষ্কার করে শুনে রাখুন। ওঁদের অফিসারেরা সব জায়গায় রয়েছেন। যদি তাঁরা আপনাদের কথা না শোনেন তবে তাড়া করে ভাগিয়ে দিন। তবেই এঁরা বুঝতে পারবেন।”

আরও পড়ুন

রাস্তা বানাচ্ছে চিন, এই বারও কাছে সেই ডোকলাম!

মোবাইল ক্যামেরায় তোলা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, প্রিয়ঙ্কা সিংহ ও তাঁর দলবলকে ওই আমলা বোঝাতে চাইছেন যে, তিনি শুধু তাঁর কর্তব্য পালন করছেন। কিন্তু, সে কথা শুনতে নারাজ প্রিয়ঙ্কা। উল্টে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, “কোনও জনপ্রতিনিধি আপনার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলে প্রোটোকল মাথায় রাখা উচিত। আমার কর্মীদের এখানে এক ফোঁটাও অসুবিধা হলে আপনার জীবন দুর্বিষহ করে দেব।” তাতেও অবশ্য নিজের কাজে অবিচল থাকেন ওই আমলা। এর পর ধৈর্য হারান সাংসদ। রেগে গিয়ে তিনি বলেন, “কাজ চুলোয় যাক! আপনি তো দেখছি সহবত ভুলে গিয়েছেন। আমি যখন এখানে দাঁড়িয়ে রয়েছি, সে সময়েই আপনি চলে যাচ্ছেন। আপনি বড় বেশি কথা বলছেন! আপনার তো দেখছি হিটলারি করার অভ্যাস আছে।...যদি আমাকেই আপনার আর আপনার লোকেদের সব কাজ করতে হয়, তবে এসডিএম-এর কী প্রয়োজন আছে? আপনি এখন যান! আমি আপনাকে বহু বার বলেছি যে, আপনি ট্রেনিংয়ে রয়েছেন। এই কারণেই আপনার সঙ্গে এত ভাল ব্যবহার করছি।”

আরও পড়ুন

ব্যাঙ্কের সঙ্গে আধার নম্বর জোড়ার সময় বাড়ল

সাংসদের এই আচরণে রীতিমতো হতবাক ওই আমলা। তা সত্ত্বেও নিজের কর্তব্য অটল থাকতে চান তিনি। সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁর বক্তব্য, “আমরা নিজেদের কাজ শেষ করতে পারিনি। সাংসদ এলে আমিও সেখানে পৌঁছেছিলাম। চারপাশে এত লোকজন ছিল যে নিজেদের কাজই শেষ করা সম্ভব হয়নি। তবে, আমরা ফের আসব। নিজেদের কাজও চালিয়ে যাব।”

আরও পড়ুন

‘আমাদের জন্য নয়, ভোটের কারণেই ওরা তালাক-বিরোধী’

বিতর্ক জড়ানো অবশ্য প্রিয়ঙ্কা সিংহ রাওয়াতের কাছে নতুন কিছু নয়। কয়েক মাস আগেই এক পুলিশ আধিকারিককে ‘চামড়া তুলে নেব’ বলে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন ওই সাংসদ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE