—প্রতীকী চিত্র।
ছত্তীসগঢ়ে যৌথ অভিযানে ২৯ মাওবাদীর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ‘পাল্টা’ হামলা! মঙ্গলবার সকালে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর দল বিশেষ অভিযান চালিয়েছিল বস্তারে। রাতে সেই বস্তারেই এক বিজেপি নেতার বাড়িতে ঢুকে তাকে খুন করল মাওবাদীরা। যদিও এই ঘটনাকে ‘প্রতিশোধ’ হিসাবে দাবি করেনি মাওবাদীরা। বরং বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে ফেলে যাওয়া প্যামফ্লেটে লেখা আছে, দুর্নীতি আর পুলিশের কাছে গোপন খবর চালাচালির অপরাধেই হত্যা করা হয়েছে তাঁকে।
মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে বস্তার অঞ্চলের নারায়ণপুরে। তার আগে সকালে মাওবাদী বিরোধী যৌথ অভিযান চালানো হয়েছিল বস্তারের কাঁকেরে। রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অভিযান প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘‘নকশালেরাই উন্নয়ন এবং শান্তির পথে সবচেয়ে বড় শত্রু।’’ তার ঘণ্টা খানেক পরেই বস্তার এলাকার ওই বিজেপি নেতার বাড়িতে এসে হাজির হয় মাওবাদীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাত ১১টা নাগাদ দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে মাওবাদীদের একটি দল। তার পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে ওই বিজেপি নেতাকে। শেষে বাড়ির ভিতরে এবং বাইরে হাতে লেখা প্যামফ্লেট ছড়িয়ে রেখে চলে যায়।
মৃত বিজেপি নেতার নাম পঞ্চমদাস মানিকপুরী ওরফে গোলু। তিনি নারায়ণপুরের দণ্ডবন গ্রামের উপ পঞ্চায়েত প্রধান এবং বিজেপির শক্তি কেন্দ্রের সহ-আহ্বায়ক। মাওবাদীদের অভিযোগ, এই পঞ্চম পুলিশের খবর সরবরাহকারী হিসাবে কাজ করতেন। তাঁকে বহু বার এ ব্যাপারে সতর্ক করা হলেও তিনি এ কাজ বন্ধ করেননি। তারই শাস্তি দিতে তাঁকে হত্যা করা হল বলেও জানিয়েছে মাওবাদীরা। তবে বস্তারে মাওবাদী দমন অভিযানের নেপথ্যে এই পঞ্চমের কোনও ভূমিকা ছিল কি না, তা স্পষ্ট নয় মাওবাদীদের প্যামফ্লেটের বক্তব্য থেকে।
পুলিশ পঞ্চমের হত্যার ঘটনাকে নিশ্চিত করেছে। সেই সঙ্গে জানিয়েছে, মাওবাদী হামলার পর গোটা এলাকায় ত্রাস ছড়িয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy