Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Ragini Dubey

উত্তরপ্রদেশে তরুণী হত্যায় ধৃত স্থানীয় বিজেপি নেতার ছেলে

রাগিণীর বাবা জিতেন্দ্র দুবে জানিয়েছেন, প্রিন্স রাগিণীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু, বিয়েতে রাজি ছিল না রাগিণী। সে পড়াশোনা করে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখত। প্রস্তাব না মানায়, রাস্তায় বেরোলেই প্রিন্স তাঁর মেয়েকে নানা ভাবে হেনস্থা করত বলে অভিযোগ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৭ ১৮:১৯
Share: Save:

রাগিণী দুবে হত্যা-কাণ্ডে স্থানীয় বিজেপি নেতার ছেলেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ইভটিজিং-এর প্রতিবাদ করায়, গত ৮ অগস্ট, প্রকাশ্য দিবালোকে বছর সতেরোর ওই তরুণীকে রাস্তায় কুপিয়ে খুন করে এক যুবক ও তাঁর বন্ধুরা। ঘটনাটি ঘটে উত্তরপ্রদেশের বালিয়ায়। সেই সময় ওই তরুণীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছোট বোন সিয়া। তাঁরই বয়ানের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে পুলিশ।

আরও পড়ুন: নাবালিকা স্ত্রীর সঙ্গে যৌন মিলন কি ধর্ষণ? বিবেচনা করবে সুপ্রিম কোর্ট

পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কয়েক মাস ধরেই রাগিণীকে উত্যক্ত করছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা কৃপাশঙ্কর তিওয়ারির ছেলে প্রিন্স তিওয়ারি। ঘটনার দিন সাইকেলে করে স্কুলে যাচ্ছিলেন রাগিণী। সঙ্গে ছিলেন সিয়া। তিনি জানিয়েছেন, প্রায়ই স্কুলে যাওয়ার পথে তাঁদের উত্যক্ত করতেন প্রিন্স। তাঁর দিদি প্রিন্সকে পছন্দ করতেন না। কথা বলতে না চাইলেও রোজই বন্ধুদের সঙ্গে এসে দিদিকে কটূক্তি করত প্রিন্স ও তাঁর বন্ধুরা। ওই দিনও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। রাগিণী ঘটনার প্রতিবাদ করে। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ওই যুবকেরা। রাগিণীকে সাইকেল থেকে নামিয়ে রাস্তার মাঝখানে টেনে নিয়ে যায় প্রিন্স ও তাঁর এক বন্ধু সোনু। এর পর ছুরি বের করে রাগিণীর গলা কেটে খুন করে তারা। সিয়ার কথায়, ‘‘সেই সময় রাস্তায় জনা পঞ্চাশেক লোক ছিলেন। সকলের চোখের সামনে ঘটনাটি ঘটলেও কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি।’’ সিয়াই কোনও রকমে রাগিনিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

আরও পড়ুন: রাতের গুরুগ্রামে যুবতীর বাইক তাড়া করল গাড়ি

রাগিণীর বাবা জিতেন্দ্র দুবে জানিয়েছেন, প্রিন্স রাগিণীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু, বিয়েতে রাজি ছিল না রাগিণী। সে পড়াশোনা করে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখত। প্রস্তাব না মানায়, রাস্তায় বেরোলেই প্রিন্স তাঁর মেয়েকে নানা ভাবে হেনস্থা করত বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা তিনি প্রিন্সের বাবা স্থানীয় বিজেপি নেতা কৃপাশঙ্করকেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও কাজ না হওয়ায় তিনি পুলিশ ও ‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড’-এর দ্বারস্থ হন। স্কোয়াডের সদস্যেরা কয়েক বার প্রিন্সকে সতর্কও করেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। রাগিণীর বাবার কথায়, প্রভাবশালী ব্যক্তির ছেলে হওয়ায় বারে বারেই বেঁচে গিয়েছে প্রিন্স। ঘটনার পর মূল অভিযুক্ত প্রিন্স ও তাঁর বন্ধু সোনু-সহ বিজেপি নেতা কৃপাশঙ্কর তিওয়ারি এবং প্রিন্সের আরও দুই বন্ধু নিরজ তিওয়ারি এবং রাজু যাদবের নামে পুলিশে অভিযোগ করেন রাগিণীর পরিবারের লোকজন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE