Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Mumbai cruise drug case

Mumbai Cruise drug case: আরিয়ানদের মাদক পার্টির হদিশ দেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ঘনিষ্ঠ, দাবি সুনীলের

মাদক রাখার দায়ে অভিযুক্ত আরিয়ান খানকে সম্প্রতি আদালত জামিন দিলেও তাঁর বিরুদ্ধে এখনও মাদক মামলার তদন্ত চলছে।

সুনীল পাটিল।

সুনীল পাটিল। ছবি সংগৃহীত

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২১ ২২:২৮
Share: Save:

আরিয়ান খানের মাদক পার্টির খবর এনসিবিকে জানিয়েছিলেন এক শীর্ষ স্থানীয় বিজেপি নেতার ঘনিষ্ঠ।

২ অক্টোবর রাতে ওই গোপন খবরের ভিত্তিতেই মুম্বইয়ের প্রমোদতরীর মাদক পার্টিতে অভিযান চালিয়েছিল জাতীয় মাদক নিয়ন্ত্রক ব্যুরো বা এনসিবি। গ্রেফতার করেছিল বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান-সহ আট জনকে। মাদক রাখার দায়ে অভিযুক্ত আরিয়ানকে সম্প্রতি আদালত জামিন দিলেও মাদক মামলার তদন্ত তাঁর বিরুদ্ধে এখনও চলছে। রবিবার ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুনীল পাটিল নামে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, আরিয়ানের মাদক পার্টির গোপন খবর যিনি ফাঁস করেছিলেন, তাঁর নাম নীরজ যাদব। বিজেপির জাতীয় স্তরের সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নীরজ।

গত ৩ অক্টোবর মুম্বইয়ের ওই প্রমোদতরীর গোপন মাদক পার্টি থেকে থেকে যখন শাহরুখ-পুত্রকে গ্রেফতার করা হয়, তখন সেখানে ছিলেন বেসরকারি গোয়েন্দা কিরণ গোসাভি এবং বিজেপি কর্মী মণীশ ভানুশালি। সুনীলের দেওয়া বয়ানের ভিত্তিতে কৈলাস ঘনিষ্ঠ নীরজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেন তিনি জানান, আসলে এনসিবিকে পার্টির কথা বলেছিলেন মণীশ। ওই বিশেষ পার্টির কথা মণীশ জেনেছিলেন নীরজের কাছ থেকে।

আরিয়ান মামলায় সম্প্রতিই প্রকাশ্যে এসেছে সুনীলের নাম। মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজ শনিবার দাবি করেছিলেন, আরিয়ানের মামলাটির মূলচক্রী আসলে সুনীল নামের এই ব্যক্তি। যিনি মহারাষ্ট্রের শাসক গোষ্ঠীর শরিক ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি বা এনসিপির ঘনিষ্ঠ। আরিয়ান মামলায় সম্প্রতি বেশ সরব হতে দেখা গিয়েছে এই এনসিপিরই এক নেতাকে। আরিয়ান মামলার তদন্তকারী এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন এনসিপি-র মন্ত্রী নবাব মালিক। বিজেপি-র মোহিতের অভিযোগটি এনসিপি-র দিকেই পাল্টা আঙুল তুলেছিল। রবিবার তার জবাব দেন সুনীল।

সাক্ষাৎকারে সুনীল জানান, তিনি এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই জড়িত নন। তিনি কিরণ গোসাভিকে চেনেন না। শুধু মণীশকে চিনতেন। শ্যাম ডি’সুজা নামের এক ব্যক্তি আরিয়ানকে সাহায্য করার কথা বলেছিলেন। সুনীলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মণীশের সঙ্গে শ্যামের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার। তিনি সেটুকুই করেছিলেন। বাকি যা করার তা শ্যাম, মণীশ এবং কিরণরাই করেছেন বলে দাবি করেছেন সুনীল। এমনকি আরিয়ানকে রেহাই দিতে ২৫ কোটি টাকার বেআইনি লেনদেনের যে অভিযোগ উঠেছে, সে ব্যাপারেও তাঁর কোনও ধারণা ছিল না। বরং সুনীলের দাবি, শ্যামের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেওয়ার পর মণীশ তাঁকে একটি হোটেলে বন্দি করে রেখেছিলেন। সেখানে তাঁকে মারধর করেন মণীশ। হুমকিও দেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Mumbai cruise drug case Aryan Khan Shah Rukh Khan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE