অটারীতে সমঝোতা এক্সপ্রেসের যাত্রীদের ভিড়। বৃহস্পতিবার। এপি
পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্ক কার্যত ছিন্ন করলেও প্রত্যাঘাত করল না নয়াদিল্লি। কিন্তু পাকিস্তানের উদ্দেশ্য সবার সামনে খোলসা করে দিয়ে জানাল, দু’দেশের সম্পর্ক বিপজ্জনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে বলে দুনিয়ার সামনে দেখাতে চাইছে ইসলামাবাদ। কিন্তু বাস্তব তা নয়।
বুধবার পাকিস্তানের তরফ থেকে ভারতীয় হাই-কমিশনারকে ফিরে যেতে বলা হয়। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। নিজেদের মনোনীত হাই-কমিশনারকেও ভারতে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। আজ পাকিস্তান সমঝোতা এক্সপ্রেসও সাময়িক ভাবে বন্ধ করেছে। ট্রেনের যাত্রীরা এ দিন ওয়াঘা সীমান্তে আটকে পড়েন। পাক চালক, গার্ডরা ভারতে ঢুকতে চাননি। ফলে ভারতের দিক থেকে ইঞ্জিন গিয়ে ট্রেনটি নিয়ে আসে। এমতাবস্থায় ভারতের পক্ষ থেকে ইটের জবাবে পাটকেল ছোড়া হচ্ছে না। বরং পাকিস্তানের পদক্ষেপে ‘দুঃখ প্রকাশ’ করে ভারত স্বাভাবিক কূটনৈতিক যোগাযোগ চালু রাখতে পাকিস্তানকে অনুরোধ করেছে। ভারতের অটারী থেকে সমঝোতা এক্সপ্রেস যথারীতি লাহৌরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
কূটনীতিকদের মতে, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ বাধতে চলেছে এমন একটা ছবি তুলে ধরে পাকিস্তান আসলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ চাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভারত সেটা সফল হতে দিতে চায় না। আজ তাই বিদেশ মন্ত্রক তার বিবৃতিতে বলেছে, ‘পাকিস্তানের আসল উদ্দেশ্য হল, আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভয়ঙ্কর ছবি দুনিয়ার সামনে তুলে ধরা। কিন্তু বাস্তব তথ্য সে কথা বলে না।’ ভারতের যুক্তি, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের সিদ্ধান্ত একেবারেই অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারতের সংবিধান ভারতের সার্বভৌম বিষয় ছিল, আছে, থাকবে। সেখানে নাক গলানোর চেষ্টা সফল হবে না। দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, ‘‘আপনি বন্ধু বদলাতে পারেন, কিন্তু প্রতিবেশী বেছে নেওয়াটা আপনার হাতে নেই। ঈশ্বর করুন, আমাদের মতো প্রতিবেশী-ভাগ্য যেন আর কারও না হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy