— প্রতীকী ছবি।
ভুয়ো ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে দিনের পর দিন বিলাসবহুল হোটেলে থাকছিলেন। অবশেষে প্রতারণার পর্দাফাঁস করল পুলিশ। গ্রেটার নয়ডা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ২২ বছর বয়সি এক পড়ুয়াকে।
জয়পুর মেডিক্যাল কলেজে বিসিএ পড়েন রাজস্থানের নিম কা থানা জেলার বাসিন্দা ২২ বছরের অক্ষয় মাগাভা। তবে কলেজের পড়ার চেয়েও তাঁর বেশি উৎসাহ ইউটিউবে। সেই ইউটিউব থেকেই ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি করার বিদ্যা করায়ত্ব করেন অক্ষয়। তার পর সেই বিদ্যা কাজে লাগিয়ে শুরু হয় প্রতারণার কারবার।
পুলিশ সূত্রে খবর, অক্ষয় দিল্লি এবং নয়ডা এলাকার অন্তত ২৫টি বিলাসবহুল হোটেলে ভুয়ো ক্রেডিট কার্ড দিয়ে থাকছিলেন বহাল তবিয়তে। গত ৮ জুলাই গ্রেটার নয়ডার ক্রাউন প্লাজ়া হোটেলে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ৬০ হাজার টাকা জমা করেন তিনি। তাতেই জারিজুড়ি ধরা পড়ে যায় অক্ষয়ের। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। রুজু হয়েছে প্রতারণা-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা।
সেন্ট্রাল নয়ডা পুলিশের ডিসিপি অনিলকুমার যাদব জানিয়েছেন, অক্ষয় প্রথমে একটি সমাজমাধ্যম গ্রুপের সদস্য হন। তার পর বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে মোবাইল অ্যাপের সহায়তায় নতুন নতুন ভুয়ো ক্রেডিট কার্ড তৈরি করতেন। তার পর তা ব্যবহার করতেন বিভিন্ন বিলাসবহুল হোটেলের বিল মেটাতে।
হোটেলে নিজেকে ট্রাভেল এজেন্ট হিসাবে পরিচয় দিতেন অক্ষয়। তার পর থাকতে শুরু করতেন। ওই হোটেলগুলিতে টাকা জমা দেওয়ার জন্য পিওএস (পয়েন্ট অফ সেল) মেশিন ব্যবহার করা হয়। যেখানে টাকা মেটানোর জন্য আলাদা করে পিন, ওটিপি বা পাসওয়ার্ড দিতে হয় না। ফলে অক্ষয় কেবলমাত্র ক্রেডিট কার্ড দিয়েই কাজ সেরে ফেলতেন। হোটেল কর্তৃপক্ষেরও বোঝার উপায় থাকত না যে কার্ডটি ভুয়ো। এ ভাবেই দিল্লি, নয়ডার অন্তত ২৫টি বিলাসবহুল হোটেলে দিনযাপন করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, নিজের বন্ধুদের ওই হোটেলে নিয়ে গিয়েও স্ফূর্তি করাতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন অক্ষয়। কিন্তু বেশি দিন এই প্রতারণার কারবার চালাতে পারলেন না। ধরা পড়ে গেলেন হোটেলে বিল বাবদ ৬০ হাজার টাকা মেটাতে গিয়ে। হোটেল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ তদন্ত করে দেখে, যে ক্রেডিট কার্ড থেকে বিল মেটানো হয়েছে, সেই নম্বরের কোনও কার্ড এ দেশে নথিভুক্তই নয়। গত ৮ জুলাই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ডিসিপি বলেন, ‘‘এ ভাবেই বিভিন্ন ভুয়ো ক্রেডিট কার্ড দিয়ে বিলাসবহুল সমস্ত হোটেলে থাকতেন দিনের পর দিন। নিজের বন্ধুবান্ধবদেরও ডেকে নিয়ে আনন্দ করতেন সেখানে। কিন্তু এ জন্য একটি পয়সাও দিতে হত না অক্ষয়কে। আমরা জানতে পেরেছি, ২৫ থেকে ৩০টি এমন বিলাসবহুল হোটেলে দিনের পর দিন থেকেছেন তিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy