অভিনন্দন পাঠক। —ফাইল চিত্র।
দেখতে অবিকল নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু কথাবার্তায় একেবারে উল্টো। ছত্তীসগঢ়ে ভোটের প্রচারে মোদীর ‘হমশকল’ অভিনন্দন পাঠক এখন ভোটারদের কাছে বলে বেড়াচ্ছেন, ‘অচ্ছে দিন’ আর আসবে না।
আগামিকাল, শুক্রবারই বিধানসভা ভোটের প্রচারে ছত্তীসগঢ়ে যাওয়ার কথা মোদীর। পাঠক কিন্তু আগে থেকেই শুরু করে দিয়েছেন। মাওবাদী অধ্যুষিত বস্তার-দন্তেওয়াড়ার বাজার, পথের মোড়ে জমে উঠেছে তাঁর সভা। স্থানীয় কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে গিয়ে ভাষণ শুরু করছেন ‘মিত্রোঁ’ বলে। পোশাক, কথাবার্তার ভঙ্গি, শরীরী ভাষায় হুবহু মোদী। তবে মোদীর ঢঙেই বলা পাঠকের প্রতিটি কথায় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটাক্ষ। বলছেন, ‘‘মিত্রোঁ, আমি এখানে এসেছি সত্যি কথাটা জানাতে। ‘অচ্ছে দিন’ আর আসবে না। ও সব নিয়ে ভুল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। আপনারা দেশের উন্নতি ঘটাতে বরং কংগ্রেসকেই ভোট দিন।’’ পাঠকের বক্তৃতায় আসছে কালোটাকা উদ্ধার করে দেশবাসীর অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা জমা করার কথা।
২০১৪-র সেই ভোটে মোদীকে জেতানোর জন্যই প্রচার করেছিলেন তাঁর ‘হমশকল’। তবে পাঠক এখন বলছেন, ‘‘আমি মোদীর মতো দেখতে বলে জনতা জিজ্ঞাসা করেন, ‘অচ্ছে দিন’ কবে আসবে? ২০১৪-র ভোটের আগে সে কথাই তো বলেছিলেন মোদীজি। কিন্তু মানুষের দুর্দশা দেখে বিজেপির জন্য প্রচার ছেড়েছি। গত মাসেই যোগ দিয়েছি কংগ্রেসে।’’ পাঠক সরাসরি বিজেপি কর্মী ছিলেন না। ছিলেন এনডিএ শরিক আরপিআই-এ। এখন মোদী-বিরোধী প্রচারে তাঁকে ব্যবহার করছে কংগ্রেস। দন্তেওয়াড়া, বস্তার, জগদলপুর, কোন্ডাগাঁওয়ে দেখা যাচ্ছে তাঁকে।
আরও পড়ুন: সঙ্কট নেই মিউচুয়াল ফান্ডে, লগ্নিকারীদের আশ্বাস কর্তৃপক্ষের
দন্তেওয়াড়ার কংগ্রেস প্রার্থী দেবতী কর্মা পাঠকের প্রচার নিয়ে অবহিত নন। দেবতী ছত্তীসগঢ়ে সালওয়া জুড়ুম-এর পথপ্রদর্শক মহেন্দ্র কর্মার স্ত্রী। মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত অভিযানের জেরে ২০১৩ সালে প্রাণ দিতে হয় মহেন্দ্রকে। স্বামীর ভাবনাকেই ভোটের প্রচারে নিয়ে আসছেন স্ত্রী। তবে প্রতি সভায় মোদীকে নিয়ে কটাক্ষ করছেন যিনি, কংগ্রেসের সেই প্রচারককে ভাল করেই চিনেছে বিজেপি। দলের প্রার্থী ভীমা মাণ্ডভির মন্তব্য, ‘‘মানুষ বোকা নন। তাঁরা জানেন, মোদী একটাই। নকল কখনও আসল হতে পারে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy