দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল।—ছবি পিটিআই।
তাঁকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ বলেছিলেন বিজেপি সাংসদ প্রবেশ বর্মা। সেই অভিযোগের জবাব দিতে গিয়ে আজ দৃশ্যতই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। তিনি বলেন, ‘‘পাঁচ বছর রাতদিন কাজ করার পরে, আমি উগ্রপন্থী— এই কথা শুনতে হল। দিল্লির জনগণই এর বিচার করবেন।’’ রাজনীতির অনেকেই বলছেন, বিজেপি যেখানে কুকথা ও মেরুকরণের রাজনীতি করে ভোট টানতে চাইছে, সেখানে পাল্টা কুকথার প্রতিযোগিতায় না গিয়ে ‘আবেগ’-কেই হাতিয়ার করলেন কেজরীবাল।
গত ২৫ জানুয়ারি একটি নির্বাচনী সভায় কেজরীবালকে সন্ত্রাসবাদী বলে উল্লেখ করেছিলেন দিল্লির সাংসদ প্রবেশ বর্মা। ওই বক্তব্যের জন্য প্রবেশকে শো-কজ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সেই অভিযোগের জবাব দিতে সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন কেজরীবাল। নিজেকে দিল্লিবাসীর ছেলে-ভাই-বন্ধু হিসাবে পরিচয় দিয়ে কেজরীবাল বলেন, ‘‘দিল্লিবাসীর জন্য সব ত্যাগ করেছি আমি। প্রয়োজনে প্রাণ পর্যন্ত দিতে পারি। চাইলে পড়াশুনো শেষ করে অন্য বন্ধুদের মতো বিদেশে চলে যেতে পারতাম। পরিবর্তে চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে এসেছি, মানুষের কাজ করার জন্য। তার পরেও আমাকে সন্ত্রাসবাদী বলা হচ্ছে। আমি অত্যন্ত ব্যথিত। দিল্লিবাসীই ঠিক করবেন আমি ওঁদের ছেলে-ভাই, না সন্ত্রাসবাদী!’’
আপ সূত্রের খবর, পরিকল্পিত ভাবেই আজ প্রবেশকে পাল্টা আক্রমণের পথে যাননি কেজরীবাল। তাতে উল্টো ফল হতে পারত। তাই জনতার উপর সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রার্থীরা ভোটের বাক্সে সহমর্মিতা পাবেন বলে আপের আশা। এরই মধ্যে আজ নির্বাচন কমিশন নোটিস পাঠিয়েছে কেজরীবালকে। বিজেপির অভিযোগ ছিল, নির্বাচনী আচরণবিধি জারি থাকা সত্ত্বেও গত ১৩ জানুয়ারি তিস হাজারি আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে ভোটে জিতলে সেখানে স্বাস্থ্য ক্লিনিক চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কেজরীবাল। কেন তিনি ওই কথা বলেছিলেন, তার জবাব কাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে জানাতে বলেছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy