গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পথে। সোমবার রাজ্যসভায় অমিত শাহ এই প্রস্তাব পেশের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে বিস্তর মন্তব্য, পক্ষে-বিপক্ষে মতামত। সঙ্গে রসিকতাও কম নেই। বিশেষ করে জমি কেনা নিয়ে। কিন্তু মজার ছলে ফেসবুক-টুইটারে কিছু পোস্ট করা বা হোয়াটস অ্যাপে ফরোয়ার্ড করা পর্যন্ত ঠিক ছিল। সেখানেই না থেমে ছড়াতে শুরু করল ভুয়ো মেসেজ, পোস্টও। সেখানে রীতিমতো জমি-বাড়ি কেনার অফার!
‘‘শ্রীনগরের লাল চকে আপনার প্লট বুক করুন। সাডে় ১১ লাখ থেকে শুরু। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া হয়েছে। অফার সীমিত। আরও বিশদে জানতে ফোন করুন এই নম্বরে— ৯০১৯২৯২***।’’ এমন একটি মেসেজ সোমবার অনেকেই পেয়েছেন। কেউ কেউ আবার সেই মেসেজ টুইটারেও শেয়ার করেছেন। যদিও এই মেসেজের ফাঁদে পা দিয়ে কেউ প্রতারিত হয়েছেন, এমন কোনও খবর নেই।
ওই নম্বরে ফোন করে জানা গিয়েছে, নম্বরটি কলকাতার একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থার। কিন্তু সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন, এই ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। দামের দিক থেকেও বাস্তবসম্মত নয়। কেউ বা কারা ওই নম্বর দিয়ে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছেন। অবশ্য শুধু এটাই নয়, একই ধরনের আরও কয়েকটি পোস্ট টুইটার-ফেসবুকে ঘোরাফেরা করেছে। কিন্তু দেখা গিয়েছে, সেগুলির অধিকাংশই ভুয়ো।
ভুয়ো এই সব পোস্ট-মেসেজের বাইরে অবশ্য অধিকাংশই ছিল ব্যাঙ্গ, রসিকতামূলক পোস্ট। ‘পিওকে ফেসিং ফ্ল্যাট কিনতে চাই’, ‘শ্রীনগরে ব্যবসার নতুন ইউনিট খুলছি’— এই ধরনের বহু পোস্ট হয়েছে ফেসবুক-টুইটারে। ঘুরে বেড়িয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের গ্রুপ-ইনবক্সে। তার সঙ্গে অবশ্য ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের সুবিধা-অসুবিধা, পক্ষে-বিপক্ষে মতামত প্রকাশ করেছে নেটিজেনরা।
Let's buy a plot in kashmir and build a bungalow.... heard it's heaven on earth...#Article370 pic.twitter.com/1y0cCtyScw
— 🚸Roniz☣ (@ronit_tak) August 5, 2019
আরও পড়ুন: ‘বাইরে যেতে দেয়নি’, অভিযোগ ফারুখের, খারিজ করলেন অমিত
আরও পডু়ন: বিজেপির মিশন কাশ্মীর, নিন্দার ঝড় পশ্চিমী মিডিয়ায়
৩৭০ অনুচ্ছেদের অন্তর্গত ৩৫এ ধারায় কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ কিছু সুবিধার কথা বলা হয়েছে। তার একটি হল, স্থায়ী বাসিন্দা ছাড়া কাশ্মীরে কেউ স্থাবর সম্পত্তি অর্থাৎ জমি-বাড়ি কিনতে পারবেন না। ৩৭০ ধারা বিলোপ হওয়ার অর্থ, সেই নিয়মও উঠে যাওয়া। এবং তার ফলে যে কোনও রাজ্যের ভারতীয় নাগরিক কাশ্মীরে জমি কিনতে পারবেন। এই অংশকে হাতিয়ার করেই এই ভুয়ো বিজ্ঞাপন বলে মনে করছেন সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy