কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। ছবি: সংগৃহীত।
ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর তথ্যের রমরমা রুখে দিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র ইতিমধ্যেই ভুল তথ্যের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে তথ্য প্রচারকারী সংস্থাগুলির জন্য নির্দেশিকাও জারি করেছে। এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ সিংহ ঠাকুর। মঙ্গলবার অসমে ওয়াই ২০ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। সেখানেই উপস্থিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপচারিতা করার সময় তিনি এই কথা বলেন।
অনুরাগের কথায়, ‘‘ভুল তথ্যের প্রচার বন্ধ করার জন্য কী করা যেতে পারে তা নিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক পরামর্শ নিচ্ছে। সাংবাদিক-সহ অনেকেই ইতিবাচক খবরের প্রচার করে এই কাজে সাহায্য করছেন।’’
তিনি জানান, ভুয়ো তথ্যের ফলে যে কোনও বিপদ ঘটতে পারে। আর সেই বিপদ আটকাতে তথ্য সম্প্রচারকারী সংস্থাগুলিকে মানুষের অভিযোগ শোনার জন্য এক জন করে প্রতিনিধি নিয়োগ করতে বলা হয়েছে।
অনুরাগের পর্যবেক্ষণ, সংবাদমাধ্যম এবং বিনোদনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত সংস্থাগুলি খুব কমই ভুয়ো তথ্যের প্রচার করে। তাই তাদের নিয়ে অভিযোগও কম আসে। ভুল খবর প্রকাশিত হয়েছে বা ভুয়ো তথ্য প্রচার করা হয়েছে বুঝতে পারলে অনেক তথ্য সম্প্রচারকারী সংস্থা স্বেচ্ছায় সেই ভুল সংশোধন করে নেয় বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংবাদমাধ্যমগুলি আরও অভিজ্ঞ হবে এবং ভুল তথ্যের প্রবাহ ধীরে ধীরে কমে যাবে।’’
অনুরাগ জানিয়েছেন, সবার প্রথমে তথ্য সম্প্রচারের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলিকে ভুয়ো খবর প্রচার করা বন্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। তার পরের ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রায় তিন বছর আগে কেন্দ্রের তরফে তথ্যের সত্যাসত্য যাচাই করার জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছিল। সেই দল বর্তমানে ভাল কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
কোভিড আবহে সারা বিশ্ব ‘করোনা অতিমারির পরিবর্তে তথ্য বিষয়ক মহামারি (ইনফোডেমিক)’র দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়েছিল বলেও মন্তব্য করেন অনুরাগ।
এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো (পিআইবি) সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত কোনও সংবাদকে ভুয়ো খবর বলে দেওয়ার পরে বেসরকারি সমাজমাধ্যম সংস্থাগুলিকে তা মুছে ফেলতে হবে বলে কেন্দ্র একটি খসড়া প্রস্তাব করে। কিন্তু কেন্দ্রের এই প্রস্তাব মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে বিরোধিতায় সরব হতে দেখা গিয়েছিল কংগ্রেস এবং সম্পাদকদের সংগঠন এডিটর্স গিল্ড অব ইন্ডিয়াকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy