Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪

ত্রিপুরায় বলি চলবে আপাতত, তবে আড়ালে

অবসরপ্রাপ্ত জেলা দায়রা বিচারক সুভাষ ভট্টাচার্য মন্দিরে পশু বলি বন্ধ করতে জনস্বার্থে একটি মামলা করেছিলেন ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে।

ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে বলি দেওয়ার জায়গা কালো প্লাস্টিকে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। নিজস্ব চিত্র।

ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে বলি দেওয়ার জায়গা কালো প্লাস্টিকে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আগরতলা শেষ আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:০৪
Share: Save:

সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশে ত্রিপুরার মন্দিরগুলিতে পশু ও পাখি বলি শুরু হয়েছে ফের। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কিছু শর্ত অবশ্য মানতে হবে। যেমন প্রকাশ্যে বলি দেওয়া যাবে না। সেই শর্ত মেনে আজ ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে বলি দেওয়ার জায়গা কালো প্লাস্টিকে ঢেকে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ছেন গোমতীর জেলাশাসক তরুণকান্তি দেবনাথ।

অবসরপ্রাপ্ত জেলা দায়রা বিচারক সুভাষ ভট্টাচার্য মন্দিরে পশু বলি বন্ধ করতে জনস্বার্থে একটি মামলা করেছিলেন ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাজ্যের সমস্ত মন্দিরে প্রকাশ্যে পশু-পাখি বলি নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। এই রায়ে রাজ্যের মানুষের মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। তার জন্যে রাজ্য সরকার উচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিল। রাজ্যের আইনমন্ত্রী রতললাল নাথ মামলা করার আগে জানিয়েছিলেন, রাজ্যবাসীর ভাবাবেগে আঘাত করার ইচ্ছা বা অভিপ্রায় তাদের নেই।

গত ৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট উচ্চ আদালতের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। গোমতীর জেলাশাসক তরুণকান্তি জানাচ্ছেন, সুপ্রিম কোর্টের সেই স্থগিতাদেশের কপি তাঁর কাছে পৌঁছেছে গত শুক্রবার। আদালতের নির্দেশ মেনে বলির জায়গাটিকে সাধারণের নজরের আড়ালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে এক দিন লেগে যায়। আজ থেকে ফের ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির তথা মাতাবাড়িতে পাঁঠা বলি শুরু হয়েছে। প্রধান পুরোহিত চন্দন চক্রবর্তী জানান ৫১৯ বছরের মধ্যে এ বারই প্রথম ৫৬ দিন বলি বন্ধ ছিল। এই বলি মায়ের পূজার অঙ্গ। আজ থেকে পাঁঠা বলি শুরু হওয়ায় মায়ের পূজা এখন আবার সম্পূর্ণ হবে। নিয়ম অনুযায়ী এ দিন সরকারি ভাবে একটি পাঁঠা বলি দেওয়া হয়। সঙ্গে পুণ্যার্থীদের কুড়িটি অর্থাৎ মোট একুশটি পাঁঠা বলি দেওয়া হয়। ২৭টি পাঁঠা ও ২০টি পায়রা দেবীর উদ্দেশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বলি ফের শুরু হওয়ায় রাজ্য সরকার এবং রাজ্যবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছে ‘জমাতিয়া হদার’। তাদের মুখপাত্র রত্নসাধন জমাতিয়া জানান, তাদের সব পূজাতেই বলির প্রচলন রয়েছে। কিছু দিন তা বন্ধ ছিল। অগ্রহায়ণ মাসের শুরুতে তাদের ‘গ্রাম পূজা’র সময় মঙ্গলবার ও শনিবারে পূজার দেওয়ার আগে মাতাবাড়িতে বলি দেওয়া যায়নি।

অন্য বিষয়গুলি:

Supreme Court of India Animal Sacrifice
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy