Advertisement
০৩ অক্টোবর ২০২৪

রাহুলের চাপে ক্ষমা চাইলেন হেগড়ে

লের নির্দেশেও এই ক’দিনে ক্ষমা চাননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু আজ লোকসভায় কংগ্রেসের হল্লার মুখে হেগড়কে বলতে হয়— কেউ ওই মন্তব্যে আঘাত পেলে তাঁর ক্ষমা চাইতে অসুবিধে নেই। কংগ্রেস দাবি তোলে, রাজ্যসভাতেও ক্ষমা চাইতে হবে। তা অবশ্য হয়নি।

অনন্ত হেগড়ে। ফাইল চিত্র

অনন্ত হেগড়ে। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৬
Share: Save:

সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটা মুছে দেবেন বলেছিলেন। বলেছিলেন, যাঁরা নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ বলেন, তাঁদের ‘বাবা-মায়ের ঠিক নেই’। আজ সেই মন্তব্যের জন্য সংসদে ক্ষমা চাইলেন অনন্ত হেগড়ে। কংগ্রেসের মতে, রাহুল গাঁধীর চাপেই বিজেপির বিতর্কিত মন্ত্রীর এই নতিস্বীকার।

আজ কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসের সকালে রাহুল বলেছিলেন, ‘‘আঘাত আসছে সংবিধানের উপরে। শঠতার জাল বুনছে বিজেপি।’’ এর পরেই রাহুল চলে যান সংসদে গাঁধীমূর্তির পাদদেশে। দলের বিক্ষোভে স্লোগান তোলেন, ‘সংবিধান কা অপমান/ নেহি সহেঙ্গে হিন্দুস্তান’, ‘মোদী সরকার মাফি মাঙ্গো’, ‘জুমলেবাজি বন্ধ করো/ দেশ কো ডরানা বন্ধ করো’। হেগড়ের ইস্তফার দাবিও তোলেন। দলের নির্দেশেও এই ক’দিনে ক্ষমা চাননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু আজ লোকসভায় কংগ্রেসের হল্লার মুখে হেগড়কে বলতে হয়— কেউ ওই মন্তব্যে আঘাত পেলে তাঁর ক্ষমা চাইতে অসুবিধে নেই। কংগ্রেস দাবি তোলে, রাজ্যসভাতেও ক্ষমা চাইতে হবে। তা অবশ্য হয়নি।

কংগ্রেসের মতে, হেগড়ের মন্তব্য সঙ্ঘ-বিজেপিরই মনের কথা। ক্ষমা চাইলেও মন্তব্য প্রত্যাহার করেননি তিনি। সংসদ মিটলেই কর্নাটকের ভোটে ঝাঁপাবে বিজেপি। রাহুলও নেতাদের বুঝিয়েছেন, হেগড়ে-বিতর্ক ব্যতিক্রম নয়। ধারাবাহিক ভাবে সংবিধানকে আক্রমণ করা হচ্ছে নরেন্দ্র মোদীর তত্ত্বাবধানেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE