হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসককে গুলি করে খুন! বুধবার মধ্যরাতে খাস দিল্লির বুকে হওয়া এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
বুধবার দিল্লির জইতপুরে কালিন্দীকুঞ্জ থানা এলাকার নিমা হাসপাতালে নিজের চেম্বারে ছিলেন চিকিৎসক জাভেদ আখতার। হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়েছেন, রাতের দিকে বছর ১৬-র দুই কিশোর হাসপাতালে যায়। তাদের এক জন জানায়, পায়ের আঙুলের ক্ষতস্থান থেকে রক্ত পড়ছে। তাই ক্ষতস্থান পরিষ্কার করে নতুন করে ব্যান্ডেজ লাগানো প্রয়োজন। সেই মতো হাসপাতালের কর্মীরা পায়ের ক্ষতস্থানে নতুন ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দেন। অভিযোগ, তার পরেই প্রেসক্রিপশন লাগবে বলে জাভেদের চেম্বারে যেতে চায় অভিযুক্ত দুই কিশোর। তারা চেম্বারে ঢোকার কিছু ক্ষণ পরেই বাইরে থেকে গুলির শব্দ পান হাসপাতালের দুই নার্সিং স্টাফ গজলা পরভিন এবং মহম্মদ কামিল।
দু’জনে নিহত চিকিৎসকের চেম্বারে ঢুকে দেখেন, জাভেদের মাথা রক্তে ভেসে যাচ্ছে। অভিযুক্তদের সন্ধান অবশ্য পাওয়া যায়নি। মনে করা হচ্ছে, চিকিৎসকের মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পরেই চম্পট দেয় তারা। অল্প সময়ে অধিক রক্তপাতের কারণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই চিকিৎসকের।
এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে তারা মনে করছে, আগাম পরিকল্পনা করেই ওই চিকিৎসককে খুন করা হয়েছে। সেই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবেই চিকিৎসকের চেম্বারে প্রেসক্রিপশন আনতে য়ায় অভিযুক্তেরা। হাসপাতালের ভিতরে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দু’জনকে চিহ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডের পর গোটা দেশেই চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি উঠেছে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত ১০ দাবির কথা জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গে কর্মবিরতি চালাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। এই আবহে দিল্লির ঘটনা চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত দাবিকে আরও জোরদার করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।